মৃত ব্যক্তির কাযা নামাযের কাফফারা

প্রশ্ন এক ব্যক্তি মারা গেছে, তার যিম্মায় বেশ কিছু নামায কাযা ছিল। মৃত্যুর সময় ছেলেদের একথা জানিয়ে গেছে। এখন ছেলেদের কী করণীয়? যদি না জানিয়ে যেত তাহলেই বা কী করণীয় ছিল? উত্তর بسم الله الرحمن الرحيم
কুরআনুল কারীমে রোযার ফিদইয়ার কথা স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে৷ কিন্তু নামাযের ফিদইয়ার ব্যপারে কুরআন-সুন্নায় স্পষ্ট কোন দিক-নির্দেশনা পাওয়া যায়না৷ অবশ্য ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ সিয়ামের ফিদইয়ার হুকুমের উপর কিয়াস করে নামাযের ফিদইয়ার বিধান নির্ধারন করেছেন এবং বলেছেনঃ আশা করা যায় এর মাধ্যমে মানুষ তার দায় থেকে নিষ্কৃতি লাভ করবে৷ অতএব,মৃত ব্যক্তি যদি তার সম্পদ থেকে তার নামাযের কাফফারা আদায় করার জন্য অসিয়ত করে যায় এবং সে সম্পদশালী হয়ে থাকে৷ তাহলে তার এক তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব হবে। আর যদি তার কোন সম্পদ না থাকে বা সম্পদ রয়েছে,কিন্তু কাফফারা আদায় করার জন্য অসিয়ত করে যায়নি। তাহলে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কাফফারা আদায় করা আত্মীয়দের উপর ওয়াজিব হবেনা। তবে স্বজনদের জন্য কাফফারা আদায় করে দেয়াই উত্তম৷ কাফফারার পরিমাণ হলো, প্রতিদিন বিতিরসহ ছয় ওয়াক্ত নামায হিসাব করে প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য পৌনে দুই সের গম বা আটা অথবা এর বাজার মূল্য গরীব-মিসকিনকে মালিক বানিয়ে দিতে হবে। অথবা প্রতি ওয়াক্ত নামাযের বদলে একজন গরীব-মিসকিনকে দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়াতে হবে। {ফতাওয়া শামী-২/৭২}
(وَلَوْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صَلَوَاتٌ فَائِتَةٌ وَأَوْصَى بِالْكَفَّارَةِ يُعْطَى لِكُلِّ صَلَاةٍ نِصْفَ صَاعٍ مِنْ بُرٍّ) كَالْفِطْرَةِ (وَكَذَا حُكْمُ الْوِتْرِ) وَالصَّوْمِ، وَإِنَّمَا يُعْطِي (مِنْ ثُلُثِ مَالِهِ) (الدر المختار-2/72) وَأَمَّا إذَا لَمْ يُوصِ فَتَطَوَّعَ بِهَا الْوَارِثُ فَقَدْ قَالَ مُحَمَّدٌ فِي الزِّيَادَاتِ إنَّهُ يُجْزِيهِ إنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، (رد المحتار-2/95-100) والله اعلم بالصواب
সত্য প্রকাশ

My name: Mufti Rezaul Karim. I am teaching in a communal madrasah, I try to write something about Deen Islam when I have time because I have a fair amount of knowledge about online. So that people can acquire Islamic knowledge online. You can also write on this blog if you want.

Please Select Embedded Mode For Blogger Comments

নবীনতর পূর্বতন