আজ মঙ্গলবার বাদ মাগরিব বি.বাড়িয়ার কান্দিরপাড় এলাকায় কাদিয়ানী সম্প্রদায় কতৃক খতমে নবুওয়াত মাদরাসায় হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে আহত করলে হাজার হাজার ইসলামপ্রিয় জনতা ও মাদরাসার তালিবে ইলম প্রতিরোধ ও বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে আসে।
এদিকে বিবাড়িয়ায় তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত মাদ্রাসায় কাদিয়ানী সম্প্রদায় কর্তৃক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল আল্লামা নুরুল ইসলাম।
সামাজিক গণমাধ্যমে দেওয়া এক নিন্দা বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ ১৪ই জানুয়ারি মঙ্গলবার বাদ এশা বি’বাড়িয়ায় অবস্থিত তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত মাদ্রাসায় ঢুকে মাদ্রাসা দখলের উদ্দেশ্যে ইসলাম, মুসলমান ও মুসলমানের নবীর স. দুশমন কাদিয়ানী গোষ্ঠী ছাত্র ও ওলামায়ে কেরামের উপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে, তা কোন ভাবেই বরদাশ্ত করা যায় না।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, অনতিবিলম্বে তাহাফফুজে খতমে নবুওত মাদ্রাসার উপরে এই অমানবিক অত্যাচার এর দায়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের দোষী সদস্যগণকে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় না আনলে দেশব্যাপী আন্দোলনে তৌহিদী জনতা ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে। যা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।
তিনি আরো বলেন, বিগত প্রায় ৩৫ বছর যাবত বাংলাদেশের মুসলমান কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে “আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুয়তের” ব্যানারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছে, এই আন্দোলনকে কোন প্রকার মূল্যায়ন না করে কাদিয়ানীদের কে লালন পালন করে আসছে। সরকারি আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ের কারনে আজ তারা মাদ্রাসা মসজিদের উপর হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখাচ্ছে।
যদি বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা রাখতে বিলম্ব করে, তাহলে তৌহিদী জনতার আন্দোলনে দেশ অচল হয়ে যেতে পারে।
তিনি আহত ছাত্রদের জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং মিডিয়া ও প্রশাসনকে সত্য ঘটনা যাচাই পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে সহায়তা করতে আহ্বান জানান।