তাকবিরে তাশরিক কি?
তাকবিরে তাশরিক হল, যে তাকবির জিলহজের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত পড়া হয়। যে কারণে এই দিনগুলোকে আইয়্যামে তাশরিক বা তাশরিকের দিন বলা হয়। দিন হিসেবে পাঁচদিন হয়।জিলহজের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব।
কাদের উপর ওয়াজিব?
প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ, মুকিম-মুসাফির, গ্রামবাসী-শহরবাসী সবার জন্য একাকি কিংবা জামাআতে ফরজ নামাজ আদায় করার পর একবার তাকবিরে তাশরিক আদায় করা আবশ্যক করেছে ইসলাম। তাই উল্লিখিত ব্যক্তিরা প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর একবার তাকবিরে তাশরিক পড়বেন।কুরবানির গুরুত্ব ও ফযিলত পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তাকবিরে তাশরিক হলো-
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْد
ُউচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।অর্থ : ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ মহান, আল্লাহ ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই; সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ মহান।’
কতবার পড়বেন?
পূর্ণ তাকবিরে তাশরিক একবার পড়বে। তিনবার পড়ার বর্ণনা খুঁজে পাওয়া যায় না । ফিকাহবিদরাও তিনবার বলার প্রতি গুরুত্ব দেননি। অবশ্য কেউ যদি সুন্নত মনে না করে এমনিতেই তিনবার বলে তবে সেটাকে বিদআত বলাও উচিত নয়।(আলআওসাত, হাদীস: ২১৯৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস: ৫৬৯৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৭; আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৫)
তাকবির সম্পর্কে আরো কিছু মাসআলা
১. ইমাম তাকবির বলতে ভুলে গেলে ও মুক্তাদির তাকবির বলা ওয়াজিব।(ফাতওয়ায়ে শামী ১ম খণ্ড ৭৭৭ পৃষ্ঠা)
২. পুরুষেরা তাকবির উচ্চ-মধ্যম স্বরে আর নারীরা অনুচ্চস্বরে বলবে।
৩. মাসবুক তার নামায আদায় করে তাকবির বলবে।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ১ম খণ্ড-৭৮৬পৃষ্ঠা )
কুরবানির মাসয়ালা যা না জানলে নয়
৪. যদি মুসল্লি ফরয নামাযের পর তাকবির বলতে ভুলে যায় এবং কিছু কাজ করে ফেলে যার দ্বারা নামায নষ্ট হয়ে যায় (যেমন মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া, অথবা ভুলে বা ইচ্ছায় কথা বলা অথবা ইচ্ছা করে অজু ভঙ্গ করা), তবে তার উপর থেকে তাকবির বলা রহিত হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া শামী ১ম খণ্ড, ৭৮৬ পৃষ্ঠা)
১৪৪০ হিজরির জিলহজ মাস হিসেবে এ বছর (২০১৯) আগামী ১১ আগস্ট রোববার ফজরের নামাজ থেকে তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে। ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর পড়ার মাধ্যমে তা শেষ হবে।
ইউটুবে আমার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এখান থেকে
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পাঠ করে আল্লাহ তাআলার ভালোবাসার ভাগিদার হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।