কুতুববাগ দরবারের পীরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

চেক জালিয়াতি করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় কুতুববাগ দরবারের পীর জাকির শাহের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আরো পড়ুন
সেই এগার জন আটক

গত রোববার এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার বাদী শহরের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ফজর আলী। বাদীর পক্ষে মামলাটিতে সাক্ষী হয়েছেন জাকির শাহের ভাই সবির আহমেদ জামান।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, পারস্পরিক সু-সম্পর্কের সুবাদে একসঙ্গে ব্যবসা করার লক্ষ্যে পীর জাকির শাহ ব্যবসায়ী ফজর আলীকে ৮ কোটি টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ব্যবসার উদ্দেশে সেই ৮ কোটি টাকা দেয়ার বিপরীতে ব্যবসায়ী ফজর আলীর কাছ থেকে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা এবং ৬টি চেক গ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন
মসজিদে দুনিয়াবী কথা বলা কি হারাম?

অঙ্গীকারনামা ও চেকের বিপরীতে বিভিন্ন সময়ে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা প্রদান করেন পীর জাকির শাহ। পরবর্তীকালে আর টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে ফজর আলী টাকা ফেরত দেয়।

ওই সময় স্ট্যাম্প ও ৩টি চেক ফেরত দিলেও বাকি ৩টি চেক খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানান পীর জাকির শাহ। ওই সময়ে স্ট্যাম্পের পেছনে চেক নম্বর উল্লেখ করে হারানো ৩টি চেক বাবদ কোনো দাবি-দাওয়া নেই মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেন এবং পরবর্তীকালে খুঁজে পেলে ফেরত দিবেন বলে অঙ্গীকার করেন তিনি।

আরো পড়ুন
বুখারী শরীফও ত্রুটি মুক্ত নয়৷

কিন্তু কিছুদিন পর ব্যবসায়ী ফজর আলী জানতে পারেন ওই চেক হারানো যায়নি এবং এগুলো নিয়ে পীর জাকির শাহ টাকা দাবি করার ষড়যন্ত্র করছেন।

গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে পীর জাকির শাহ এবং সহযোগী ইসমাইল হোসেন বাবুকে খাওয়ানোর পর চেক ফেরতের বিষয়ে কথা বললে পীর জাকির শাহ ও সহযোগী বাবু ৫ কোটি টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ক্ষতি হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ব্যবসায়ী ফজর আলী বাদী হয়ে কুতুববাগ দরবারের পীর জাকির শাহ ও তার সহযোগী ইসমাইল হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ক অঞ্চল) আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।

আরো পড়ুন
আবু হানিফা কি মুরজিয়া ছিলেন?

এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী ফজর আলী জানান, একজন পীর হিসেবে আমি তাকে যথেষ্ট বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা করতাম। সরল বিশ্বাসে আমি কোনো টাকা না পেয়েই ৮ কোটি টাকার স্ট্যাম্প ও চেক ওনাকে দিয়েছি। পরে উনি ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দিয়ে আর দিতে পারবে না বলে জানায়। তখন এই টাকায় ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য সফল হবে না বলে টাকা ফেরত দেই। উনিও আমাকে স্ট্যাম্প ও ৩ কোটি টাকার ৩টি চেক ফেরত দিয়ে বাকি ৫ কোটি টাকার ৩টি চেক খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানায়। সূত্র আওয়ার ইসলাম



সত্য প্রকাশ

My name: Mufti Rezaul Karim. I am teaching in a communal madrasah, I try to write something about Deen Islam when I have time because I have a fair amount of knowledge about online. So that people can acquire Islamic knowledge online. You can also write on this blog if you want.

Please Select Embedded Mode For Blogger Comments

নবীনতর পূর্বতন