ফেইসবুকে মহানবীকে (সা.) কটূক্তির প্রতিবাদের সময় ভোলায় মুসলিম জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশের গুলিতে মাদ্রাসা ও কলেজছাত্রসহ ৪জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশসহ প্রায় দের শতাধিক আহত হয়েছেন। শতাধিক মুসল্লিকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ও ৪০ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবং গুরুতর ১০-১৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানে হয়েছে।
নিহতরা হলেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার মহিউদ্দিন পাটওয়ারীর মাদ্রাসা ছাত্র মাহবুব (১৪), উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দেলওয়ার হোসেনের কলেজ ছাত্র ছেলে শাহিন (২৩), বোরহানউদ্দিন পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহফুজ (৪৫), মনপুরা হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা মিজান (৪০)।
জানা যায়, গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের ম্যাসেঞ্জার রসুল (সা.) কে কুরুচিপূর্ণ ম্যাসেজ পাঠায় এক হিন্দু যুব্ক। এনিয়ে রোববার বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মাঠে সর্বস্তরের তৌহীদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
মহিলাদের কবর যিয়ারত ও জুনুবী ব্যক্তির ভুলক্রমে আদায়কৃত নামাযের হুকুম কি? এ বিক্ষোভ মিছিলটি না করার জন্য বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা জালাল উদ্দিন, বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানকে পুলিশ অনুরোধ জানায়। এবং সাধারণ মানুষ আসার আগে বিক্ষোভটি বন্ধ ঘোষণা করতে বলেন। তাদের অনুরোধে এ দুই ইমাম সকাল ১০টার দিকেই যে সকল লোক আসছে তাদেরকে নিয়ে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলটি সমাপ্ত করেন।
কিন্তু এতক্ষণে বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার লোক এসে ঈদগাহে জড়ো হয়। এসময় বাধা দিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে মুসল্লিরা। পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত দফায় দফায় পুলিশের সাথে মুসল্লীদের সংঘর্ষ হয়। এতে ছাত্রসহ ৪জন নিহত হয়। ১০ পুলিশ সদস্যসহ প্রায় দেড় শতাধিক মুসল্লী আহত হয়।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার বলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামের এক যুবকের ফেইসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। আমরা হ্যাকের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আটক করেছি। আমরা এ নিয়ে গত রাতে স্থানীয় আলেমদের সাথে কথা বলেছি। তারা বলছে আজকের প্রোগ্রাম হবে না।
কিন্তু সকাল থেকে আমাদের কাছে খবর আসে সেখানে মাইকিং হচ্ছে এবং স্টেজ বানানো হচ্ছে। সেখানে গিয়ে আমরা উপস্থিত মুসল্লীদের সাথে কথা বলেছি। এবং আমি নিজে সেখানে বক্তব্য দিয়েছি। তারা সবাই আমার বক্তব্য শুনেছে।
যখন আমি স্টেজ থেকে নেমে আসি তখন এক দল উত্তেজিত জনতা আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা আত্মরক্ষার্থে একটি রুমে গিয়ে আশ্রয় নেই। যখন তারা আমাদের রুমের জানালা ভেঙ্গে ফেলছে তখন আমরা প্রথমে সর্টগানের ফাকা গুলি ছুড়েছি। আরো পড়ুন >>বিএসএফ সদস্য নিহত: যা বলছে বিজিবি
পুলিশসহ প্রায় দের শতাধিক আহত হয়েছেন। শতাধিক মুসল্লিকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ও ৪০ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবং গুরুতর ১০-১৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানে হয়েছে।
নিহতরা হলেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার মহিউদ্দিন পাটওয়ারীর মাদ্রাসা ছাত্র মাহবুব (১৪), উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দেলওয়ার হোসেনের কলেজ ছাত্র ছেলে শাহিন (২৩), বোরহানউদ্দিন পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহফুজ (৪৫), মনপুরা হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা মিজান (৪০)।
জানা যায়, গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের ম্যাসেঞ্জার রসুল (সা.) কে কুরুচিপূর্ণ ম্যাসেজ পাঠায় এক হিন্দু যুব্ক। এনিয়ে রোববার বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মাঠে সর্বস্তরের তৌহীদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
মহিলাদের কবর যিয়ারত ও জুনুবী ব্যক্তির ভুলক্রমে আদায়কৃত নামাযের হুকুম কি? এ বিক্ষোভ মিছিলটি না করার জন্য বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা জালাল উদ্দিন, বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানকে পুলিশ অনুরোধ জানায়। এবং সাধারণ মানুষ আসার আগে বিক্ষোভটি বন্ধ ঘোষণা করতে বলেন। তাদের অনুরোধে এ দুই ইমাম সকাল ১০টার দিকেই যে সকল লোক আসছে তাদেরকে নিয়ে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলটি সমাপ্ত করেন।
কিন্তু এতক্ষণে বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার লোক এসে ঈদগাহে জড়ো হয়। এসময় বাধা দিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে মুসল্লিরা। পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত দফায় দফায় পুলিশের সাথে মুসল্লীদের সংঘর্ষ হয়। এতে ছাত্রসহ ৪জন নিহত হয়। ১০ পুলিশ সদস্যসহ প্রায় দেড় শতাধিক মুসল্লী আহত হয়।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার বলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামের এক যুবকের ফেইসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। আমরা হ্যাকের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আটক করেছি। আমরা এ নিয়ে গত রাতে স্থানীয় আলেমদের সাথে কথা বলেছি। তারা বলছে আজকের প্রোগ্রাম হবে না।
কিন্তু সকাল থেকে আমাদের কাছে খবর আসে সেখানে মাইকিং হচ্ছে এবং স্টেজ বানানো হচ্ছে। সেখানে গিয়ে আমরা উপস্থিত মুসল্লীদের সাথে কথা বলেছি। এবং আমি নিজে সেখানে বক্তব্য দিয়েছি। তারা সবাই আমার বক্তব্য শুনেছে।
যখন আমি স্টেজ থেকে নেমে আসি তখন এক দল উত্তেজিত জনতা আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা আত্মরক্ষার্থে একটি রুমে গিয়ে আশ্রয় নেই। যখন তারা আমাদের রুমের জানালা ভেঙ্গে ফেলছে তখন আমরা প্রথমে সর্টগানের ফাকা গুলি ছুড়েছি। আরো পড়ুন >>বিএসএফ সদস্য নিহত: যা বলছে বিজিবি