তালিবুল ইলমের জন্য "মোবাইল ফোন" কালসাপের মতো



তালিবুল ইলমের জন্য "মোবাইল ফোন" কালসাপের মতো

কিছু কিছু জিনিস আছে নিছক আইনের বিচারে দেখলে জায়েয়, কিন্তু যাদের অন্তর্দৃষ্টি আছে তারা সেটার মধ্যেও অন্ধকার দেখতে পান। জাওয়ালের বিষয়ে আমার খুব আশঙ্কা হয়। দাওরাতুল হাদীস এবং তাখাসসুস পর্যন্ত তালিবুল ইলমের ভিত্তির যমানা। এই যমানায় যার হাতে "মোবাইল ফোন" আসবে আমি কসম করে বলতে পারি, সে ইলম থেকে মাহরুম হতে পারে। যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয় এটা কি জায়েয নয়, আমি বলব, প্রয়োজনের ক্ষেত্রে জায়েয।


একটা দৃষ্টান্ত মনে পড়ছে। আমি একজনকে দেখেছিলাম, রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটা কলার খোসা পুরোটা ফেলে দিয়ে কলাটা হাতে নিয়ে খাচ্ছে। এটা জায়েয, কিন্তু এই খানাতে কলবের মধ্যে অন্ধকার পয়দা হবে। এই খানার কারণে কলব থেকে ইলমের নূর বিদায় হয়ে যাবে।
তালিবুল ইলমের ভিত্তির যমানায় "মোবাইল ফোন"কে কালসাপের মতো ভয় করতে হবে। এটার সুবিধার যত দিক আছে, সমস্ত দিক থেকে চোখ বন্ধ করে রাখতে হবে। অন্তত যারা এটা পারবে না তারা যেন এই মাদরাসায় না থাকে। কেননা তা আরো ভয়ের কারণ, আরো আশঙ্কার কারণ। এমন প্রতিষ্ঠানও থাকতে পারে যেখানে হয়ত মোবাইলের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা নেই, সেখানে হয়ত তোমার এত বেশি ক্ষতি হবে না। ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমে যাবে। আর যেখানে তোমার কাছে "মোবাইল ফোন" আছে শুনলে জিম্মাদারের দিলে ক্ষত সৃষ্টি হয় ঐখানে তুমি দাখেলা নিয়ো না। আমি এটা খুব হামদরদীর সাথে বুঝানোর চেষ্টা করি। যখন জানতে পারি যে, কারো কাছে জাওয়াল আছে তখন বলি, তুমি এখান থেকে চলে যাও। তোমাকে দেখলেই আমার কষ্ট হবে। তুমি এখনো আছ এটা বারবার মনে পড়বে, মনে পড়লে আমার কষ্ট হবে। এই কষ্টটা তোমার জন্য ক্ষতিকর।

"মোবাইল ফোন" তোমার পকেটে থাকবে, তোমার সুন্দুকে থাকবে, তোমার কানে লাগানো থাকবে, আর তোমাকে ছোবল দিতে থাকবে-এটা বিরাট সর্বনাশের বিষয়। এটা থেকে নিজেকে পাক করে ফেলো, সাফ করে ফেলো। যদি না পারো, তাহলে এখান থেকে বিদায় হয়ে যাও, যেন ক্ষতির পরিমাণ কমে যায়। তবে আমি সাবধান করে দিচ্ছি, যেখানে থেকেই ব্যবহার করো ক্ষতি হবেই। টুপি কোর্তার আলেম হয়ে যাবে। মজলিসে বসলে বাহ্যিক কোনো ফরক থাকবে না। ও-ও আলিম, এ-ও আলিম। কিন্তু একজন টুপি কোর্তার আলিম, আরেকজন ইলমের আলিম। কিন্তু এখানে থাকলে যিন্দেগীটা বরবাদ হয়ে যাবে। কারণ এই মাদরাসার একটা নিজস্ব তবিয়ত আছে, উসলূব ও আন্দায আছে। তা রক্ষা না করলে তোমার ক্ষতি হবে।
আর কেউ যদি এখানে আদব রক্ষা করে চলতে পারে, আমি আল্লাহর রহমতের কাছে আশা করি যে, সে হিমালয়ের উচ্চতায় পৌঁছে যেতে পারবে। আমি আল্লাহর রহমতের কাছে আশা করি যে, এই মাদরাসার ফারেগীনদের এই যমানার মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলার যোগ্যতা অর্জন হবে।
আল্লাহ তোমাদের প্রত্যেককে আমার চেয়ে বহু বহু গুণ বড় ও ভালো তালিবুল ইলম বানিয়ে দিন। ‘আলিম’ বানিয়ে দেন বলিনি। কারণ আমি আলিম না, তালিবুল ইলম।

সত্য প্রকাশ

My name: Mufti Rezaul Karim. I am teaching in a communal madrasah, I try to write something about Deen Islam when I have time because I have a fair amount of knowledge about online. So that people can acquire Islamic knowledge online. You can also write on this blog if you want.

Please Select Embedded Mode For Blogger Comments

নবীনতর পূর্বতন