করোনার সংক্রমণ এড়াতে সাধারণ ছুটি থাকছে আগামী ৩০ মে পর্যন্তই। গতকাল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এবিষয়টি গনমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছিলেন, সাধারণ ছুটির মেয়াদ আর বাড়ছে না। সীমিত পরিসরে ধীরে ধীরে সব কিছু খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া গণপরিবহন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে একেবারে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন রাস্তায় থাকবে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোতে শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশের সকল কওমি মাদ্রাসাগুলো ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে চাচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী এটাই ভর্তির সময়কাল।
কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে আগামী ১৫ জুন। যা কওমি মাদ্রাসার ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অন্তরায়।
দেশের বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসার মুহতামিমরা দাবি তুলছেন, ৭ শাওয়াল আমাদের মাদ্রাসাগুলোতে সাধারণত ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। আমরা এবছরও ৭ শাওয়াল ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে চাচ্ছি। ইংরেজি মাস হিসেবে জুনের ১ তারিখ আরবি মাসের ৭ শাওয়াল। দূরত্ব মাত্র ১৫ দিনের। তাছাড়া আমাদের মাদ্রাসা গুলোতে নিয়মতান্ত্রিক ক্লাস শুরু হবে ১৫ জুনের পরেই। শুধু ভর্তি কার্যক্রম আগামী ১ তারিখ থেকে চালু করতে চাচ্ছি।
এমন দাবির প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গুলো থেকে কোন প্রকার বিবৃতি বা বক্তব্য দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।
তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। নিয়মিত আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা হচ্ছে। তবে এখনো বলার মতো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
যেহেতু বিষয়টি আন্তর্জাতিক এবং রাষ্ট্রীয় সমস্যা তাই সরকারের অনুমতিক্রমেই আমরা মাদ্রাসা খুলতে চাচ্ছি। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। এমন পরিস্থিতিতে তাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাদ্রাসা খোলা ঠিক হবে না।
মাওলানা মাহফুজুল হক আরো জানান, জুনের প্রথম থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বেফাক। বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। সরকারের গ্রীন সিগন্যাল পেলেই আমরা স্বাস্থবিধি মেনে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেবো।