রজব মাসের ফজিলত ও আমল

রজব মাসের ফজিলত ও আমল

রজব মাসের ফজিলত ও আমল। শুরু হয়েছে রজব মাস৷ রজব মাস একটি সম্মানিত মাস৷ এ মাসটি মাহে রমজানের প্রস্তুতির মাস৷ মাহে রমযানকে স্বাগত জানানোর মাস৷ একজন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার স্টুডেন্ট যেমন পরীক্ষার ও এক্সামের দুই এক মাস পূর্ব থেকে পরীক্ষার জন্য প্রিপারেশন ও প্রস্তুতি গ্রহণ করে৷ তদ্রুপ একজন প্রকৃত ও ছাচ্চা মুমিন ও মুসলমান রজব মাস থেকেই রমযানের রোযার জন্য প্রস্তুতি ও প্রিপারেশন গ্রহণ করে থাকেন৷ 

যে চার মাস সম্মানিত ও যুদ্ধবিগ্রহ হারাম সে মাসের একটি হলো, রজব মাস৷ চারটি মাসকে আল্লাহ তাআলা বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছেন ও সে মাসগুলোতে যুদ্ধবিগ্রহ হারাম ঘোষণা করেছেন৷  

সে চারটি মাস হলো, জিলকদ, জিলহজ্জ, মুহাররম ও রজব৷ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

إن الزمان قد استدار كهيئته يوم خلق الله السموات والأرض، السنة اثنا عشر شهرًا، منها أربعة حرم، ثلاث متواليات: ذو القعدة، وذو الحجة، والمحرم، ورجب مضر الذي بين جمادى وشعبان

অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা আসমান-জমিন সৃষ্টি করার দিন থেকেই বৎসর হয় বারো মাসে। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত; তিনটি ধারাবাহিক ভাবে, জিলকদ, জিলহজ ও মহররম এবং চতুর্থটি হলো “রজব মুদার”, যা জুমাদাল উখরা ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী।’ (বুখারী হাদীস নং-৩১৯৭)


                 রজব মাসের দোআ


বেশি বেশি এই দোয়াটি পাঠ করা,

اللهم بارك لنا في رجب وشعبان و بلغنا رمضان

বাংলা উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শা‘বান ওয়া বাল্লিগনা রমাদান৷

অর্থঃ হে আল্লাহ! রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন৷ রমজান মাস আমাদের নসিব করুন।

হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ رَجَبٌ، قَالَ: اللهم بارك لنا في رجب وشعبان و بلغنا رمضان

অর্থাৎ যখন রজব মাস আগমন করত তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দোআ পড়তেন, 

اللهم بارك لنا في رجب وشعبان و بلغنا رمضان

এ দোআটি যয়ীফ ও দূর্বল সনদে বর্ণিত হলেও ফুকাহে কেরাম ফাযায়েলের ক্ষেত্রে এরুপ বর্ণনার উপর আমল করার মতামত দিয়েছেন৷ তাই দোআ হিসেবে এটি পড়া যেতে পারে৷ 


আরোও পড়ুন → আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি কি মুরজিয়া ছিলেন?


            রজব মাসের নামায


লায়লাতুর রাগায়েব ৷ লায়লাতুর রাগায়েব বলা হয়, রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার রাত কে ৷ লায়লাতুর রাগায়েব একটা নতুন আবিস্কৃত ও বানোয়াট রজনী। ইসলামী শরীয়তে এর কোনো  ভিত্তি নেই। এটা আবিস্কৃত হয়েছে মূলত দুইটি মাওযু ও  ভিত্তিহীন বর্ণনার আলোকে ৷ 

১. যারা রজব মাসে রোযা রাখে তাদের গুনাহ ক্ষমা করার জন্য আসমানের সকল ফেরেশতা রজবের প্রথম জুমআর রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দুআয় মগ্ন থাকেন।

২. যে ব্যক্তি রজবের প্রথম বৃহস্পতিবার রোযা রাখে৷ অতপর মাগরিব ও ইশার মাঝখানে দু’ রাকাত করে (বিশেষ পদ্ধতিতে) বার রাকাত নামায আদায় করে তার সকল প্রয়োজন  পূরণ করা হয়৷ তার সকল গোনাহ মাফ করা হয়৷ যদিও তা সমুদ্রের ফেনা, বালুকণা, পাহাড়ের ওজন এবং বৃক্ষের পাতার সমপরিমাণ হয়। আর কিয়ামতের দিন সে তার পরিবারের সাতশ গোনাহগার জাহান্নামের উপযোগী মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।



এ দুই বানোয়াট ও মিথ্যা রেওয়ায়েত ও বর্ণনার ভিত্তিতে প্রয়োজন পূরণের কথিত এ রাতের নাম রাখা হয়েছে ‘লাইলাতুর রাগায়েব’ (ليلة الرغائب) 

আর বিশেষ পদ্ধতির নামাযের নাম রাখা হয়েছে ‘সালাতুর রাগায়েব’।

ইবনে রজব হাম্বলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, রাগায়েবের নামায ও এর ফযীলত সংক্রান্ত  হাদীস বানোয়াট ও মিথ্যা। আবু ইসমাইল আনসারী, আবু বকর সামআনী, আবুল ফযল ইবনে নাসির, ইবনুল জাওযী সকলেই এ সংক্রান্ত রেওয়ায়াত ও বর্ণনাকে  ভিত্তিহীন বলেছেন। (লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃ. ১৭১, মা সাবাতা বিস্সুন্নাহ ফী আইয়ামিস সানাহ,পৃ. ১৮০)


আরোও পড়ুন → বিতর নামায আদায়ের পদ্ধতি


            রজব মাসের রোজা

রজব মাস ‘আশহুরে হুরুম‘ তথা  প্রশিদ্ধ সম্মানিত চার মাসের একটি মাস৷ আর হারাম মাস সমূহে রোজা রাখার ফযিলত  সংক্রান্ত  নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে৷ তাই ফুকাহায়ে কেরাম রজব মাস সহ অন্যান্য হারাম মাসে রোজা রাখাকে মুস্তাহাব বলেছেন৷ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আবু উমামা বাহেলী রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহুকে বললেন, 

"صم من الحرم واترك"

অর্থাৎ “হারাম মাসগুলোতে রোজা রাখ; এবং রোজা ভঙ্গও কর”৷

(আবু দাউদ, হাদিস নং- ২৪২৮)

সুতরাং যে ব্যক্তি এ হাদিসের ভিত্তিতে রজব মাসে রোজা রাখে এবং অন্য হারাম মাসেও রোজা রাখে এতে কোন অসুবিধা নেই। তবে মনে রাখতে হবে, রজব মাসে রোজা রাখা বা রজব মাসের কিছু অংশে রোজা রাখার ব্যাপারে কোন সহিহ হাদিস বর্ণিত হয়নি। কিছু কিছু মানুষ রজব মাসের বিশেষ ফজিলত রয়েছে মনে করে এ মাসের বিশেষ কিছু দিনে যে রোজা রাখে এ ধরণের বিশ্বাসের কোন ভিত্তি নেই।


নিম্নের হাদীসটির প্রতি লক্ষ করুন৷ যখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে শা‘বান মাসের রোজার কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলো৷ তখন তিনি বললেন,

ذَلِكَ شَهْرٌ يَغْفُلُ النَّاسُ عَنْهُ بَيْنَ رَجَبٍ وَرَمَضَانَ

অর্থাৎ রজব ও রমজানের মাঝামাঝি মাসে লোকেরা উদাসীন থাকে৷ (নাসাঈ শরীফ-২৩৫৭)

ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন, এ হাদীস দ্বারা বুঝা যায়, শাবান ও রমজান মাস আমল, ইবাদাত ও আনুগত্যের মাস৷ এ মাসে উদাসীন ও আল্লাহর স্বরণ থেকে গাফেল থাকা উচিৎ নয়৷


         রজব মাসের কিছু কুসংস্কার


অনেক অজ্ঞ লোকদের দেখা যায় যে, এ মাসে পশু যবাই করে ওরস করে৷ শুধু তাই নয়, রাস্তার মোড়ে মোড়ে ডেকচিতে লাল কাপড় জড়িয়ে রান্নার আয়োজন করে৷ এটাকে তারা বিশাল পূণ্যের কাজ মনে করে৷ এটা মুশরিকদের অনুস্বরণ করার নামান্তর৷ কারণ জাহেলী ও অন্ধকার যুগে মুশরিকরা নিজ দেবতা বা প্রতিমার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু জবাই করত। একে 'আতীরা' বলা হতো৷ 


নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  এ শিরকী প্রথা ও কুসংস্কার কে মূলোৎপাটন করেছেন৷ হযরত আবু হুরায়রা রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, 

لا فَرَعَ وَلا عَتِيرَةَ

অর্থাৎ ইসলামে 'ফারা' (উট বা বকরির প্রথম বাচ্চা প্রতিমার উদ্দেশ্যে) জবাই করার কোনো প্রথা নেই এবং 'আতীরা'ও নেই। অর্থাৎ রজব মাসে প্রতিমার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু জবাই করার প্রথাও নেই'৷ (সহিহ বুখারি, ২/৮২২)

           রজব মাসের বেদআত


(১) সালাতুর রাগায়েব। যা এ মাসের প্রথম জুমা রাত্রে বাদ মাগরিব সাতটি সালামের মাধ্যমে ১২ রাকাতের একটি বিশেষ নামাজ। এ হাদিসটি মওজু বা বানোয়াট।

ইমাম নববী রহিহুল্লাহ  শরহে মুসলিমে বলেন, 

قاتل الله واضعها ومخترعها , فإنها بدعة

অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা সালাতুর রাগায়েব উদ্ভাবনকারীকে ধ্বংস করুন৷ কেননা, তা বেদআত৷

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ বলেন,

هذه الصلاة لم يصلها رسول الله صلى الله عليه وسلم ولا أحد من الصحابة , ولا التابعين , ولا أئمة المسلمين  

অর্থাৎ এ নামায নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কোনো সাহাবী, কোনো তাবেয়ী এবং কোনো ইমাম পড়েননি৷ (ফতোআয়ে কুবরা, ২/২৬২)

(২) মেরাজের রাতের সালাত, যা রজবের ২৭ তারিখে আদায় করা হয়। একে বলা হয় লাইলাতুল মেরাজের সালাত। এটিও বেদআত, ইসলামী শরিয়তে যার কোনো ভিত্তি নেই।

কারণ শবে মেরাজ ইবাদতের বিশেষ ফযীলতের ব্যাপারে কোন হাদীস বিদ্যমান নেই। তাই শবে মেরাজের কোন গুরুত্বপূর্ণ আমল ইসলামী শরীয়তে নেই।


রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, শবে মেরাজে বিশেষ কোন আমল করেন নি, তাই শবে মেরাজে বিশেষ আমল নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যা করেন নি, সেটাকে দ্বীন মনে করার নামই হল বিদআত। আর বিদআত পথভ্রষ্টতা। আর পথভ্রষ্টতা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত করে।


  রজব মাস সংক্রান্ত কিছু জাল ও বানোয়াট হাদীস

এ মাসের ফযিলত ও আমল সংক্রান্ত অনেকগুলো যয়ীফ ও জাল হাদীস রয়েছে৷ আমি শুধু লোক মুখে প্রচলিত ৪ টি হাদীস উল্লেখ করছি৷

(এক) রজব মাস আল্লাহর মাস হিসেবে প্রমাণ করার জন্য নিম্নের হাদীসটি অনেকে জাহেল লোক উল্লেখ করে থাকেন৷

رجب شهر الله وشعبان شهري ورمضان شهر أمتي

অর্থাৎ রজব আল্লাহর মাস, শাবান আমার মাস এবং রামাযান আমার উম্মতের মাস।”এটি একটি জাল হাদীস। 

এ হাদীসের ব্যাপারে ইমাম সানয়ানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, 

حديث موضوع، وفي إسناده أبو بكر بن الحسن النقاش، وهو متهم

অর্থাৎ এটি একটি জাল ও মওযু হাদীস৷ উক্ত হাদীসটি বর্ণনাকারীদের মধ্যে আবু বকর আন নাক্কাশ নামে একজন বর্ণনাকারী রয়েছে। যিনি চরম মিথ্যাবাদী৷ 

(আল লাআলী ফিল মাওযুআত, ২/১১৪)

আবু বকর নাক্কাশ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন, 

وأبو بكر النقاش ضعيف متروك الحديث

অর্থাৎ আবু বকর নাক্কাশ দূর্বল বর্ণনাকারী, তার হাদীস পরিত্যাজ্য৷

(দুই) তারা আরোও বলে থাকেন৷ হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,

فضل شهر رجب على الشهور كفضل القرآن على سائر الكلام

অর্থৎ রজম মাসের ফজিলত অন্যসব মাসের তুলনায় তেমন, যেমন কুরআন শরীফের ফজিলত অন্যসব কালামের ওপর। এ হাদীসটিও জাল ও মাওযু৷ 


(তিন) তাদের বর্ণনাকৃত আরেকটি হাদীস হলো,

 إن شهر رجب شهر عظيم، من صام منه يوماً كتب الله له صوم ألف سنة

অর্থাৎ রজব একটি গুরুত্বুুর্ণ মাস৷ যে ব্যক্তি এ মাসে একটি রোযা রাখবে আল্লাহ  তাআলা তাকে এক হাজার মাস রোযা রাখার সওয়াব দিবেন৷ এটিও বানোয়াট হাদীস৷ (আল মাওযুআত, ২/২০৬)

(চার) রজবের রোজার ফযিলত বর্ণনা করতে গিয়ে তারা বলেন, 

من صام ثلاثة أيام من رجب كتب الله له صيام شهر، ومن صام سبعة أيام أغلق عنه سبعة أبواب من النار

অর্থাৎ যে ব্যক্তি রজব মাসে তিনটি রোজা রাখবে আল্লাহ তাকে এক মাস রোযা রাখার সওয়াব দিবেন৷ আর যে ব্যক্তি সাতটি রোযা রাখবে আল্লাহ তার জন্য জাহান্নামের সাতটি দরোজা বন্ধ করে দিবেন৷ এ হাদীসটিও বানানো৷ (আল মাওযুআত, ২/২০৬)


আরোও পড়ুন → এ ব্লগে বিজ্ঞাপনের মুল্য তালিকা


পরিশেষে আল্লামা তক্বী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম এর একটি প্রবন্ধের কিছু অংশ দিয়ে এ প্রবন্ধের ইতি টানছি৷ হজরত তক্বী উসমানি দামাত বারাকাতুহুম এক প্রবন্ধে লিখেন, 'দ্বীনের সারমর্মই হচ্ছে আল্লাহর হুকুমের অনুসরণ, যেখানে আল্লাহপাক নামাজের হুকুম করেছেন, সেখানে নামাজ পড়া দ্বীন, যেখানে নিষেধ করেছেন সেখানে না পড়াই দ্বীন। যখন রোজা রাখার হুকুম করেছেন, তখন রোজা রাখাই দ্বীন আর যখন নিষেধ করেছেন তখন তা বর্জন করার নামই হচ্ছে দ্বীন বা প্রকৃত দ্বীনের অনুসরণ। 


অতএব কেউ যদি অতীব গুরুত্বপূর্ণ মনে করে ২৭ রজব রোজা রাখে, তা তার পক্ষ থেকে দ্বীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি হবে। হ্যাঁ, যদি এটিকে অন্যান্য দিনের মতো সাধারণ মনে করেই রোজা রাখা হয়, তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে জরুরি মনে করে এ দিনের রোজা রাখা কিংবা রাত জাগা কোনো পুণ্যময়ী কাজ তো নয়ই, বরং বেদআতের অন্তর্ভুক্ত।'

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুন৷ মনগড়া বিদআত আমল থেকে রক্ষা করুন৷ আমীন৷

লেখকঃ মুফতি রেজাউল করিম, মুহাদ্দীস, সুফফাহ মাদরাসা, মহেশপুর, ঝিনাইদহ

সত্য প্রকাশ

আমার নামঃ মুফতি রেজাউল করিম। আমি একটি কওমী মাদরাসায় শিক্ষকতা করছি। পাশাপাশি এ ব্লগের সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান থাকায় সময় পেলে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করি। যেন অনলাইনেও মানুষ ইসলামি জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আপনিও চাইলে এ ব্লগে লিখতে পারেন।

Please Select Embedded Mode For Blogger Comments

নবীনতর পূর্বতন