بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মানুষ জীবিত হোক বা মৃত হোক সর্বদা মানুষকে সম্মান করতে হবে,তাকে অপদস্থ করা যাবে না।মূত্যু পরবর্তী জানাযা সম্পন্ন হওয়ার পর মানুষকে দাফন করাই আল্লাহর বিধান।এমনকি লাশের যে অংশকে পাওয়া যাবে তাকেও দাফন করা।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﻛَﺮَّﻣْﻨَﺎ ﺑَﻨِﻲ ﺁﺩَﻡَ
নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি।(সূরা বনী ঈসরাঈল-৭০)
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻛَﺴْﺮُ ﻋَﻈْﻢِ ﺍﻟْﻤَﻴِّﺖِ ﻛَﻜَﺴْﺮِﻩِ ﺣَﻴًّﺎ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,মৃত মানুষের হাড্ডি ভাঙ্গা জীবিত মানুষের হাড্ডি ভাঙ্গার সমতূল্য।(মুসনদে আহমদ-২৪৭৩০, সুনানু আবি দাউদ-৩২০৭,সুনানু ইবনি মা'জা-১৬১৬)
জীবিতদের চিকিৎসার স্বার্থে কিছু শর্ত সাপেক্ষ্যে হারবী বা মুরতাদ কাফেরের লাশকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমতি সম-সাময়িক ফুকাহায়ে কেরামগণ দিয়েছেন। (মাজমা'উল ফেকহীল ইসলামী,জিদ্দা)
হাড় যদি কোনো মৃত মুসলমানের হয় তাহলে তৎক্ষণাৎ তাকে দাফন করা ওয়াজিব।পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে রেখে দেওয়া কখনো জায়েয হবে না।বরং এর পরিবর্তে প্লাস্টিক ইত্যাদির তৈরী হাড় দ্বারা গবেষণা করাই উচিৎ।
আরব বিশ্বের বিশিষ্ট আলেম সালেহ অাল-ফাউজান বলেন, শিক্ষার স্বার্থে লাশকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা বর্তমান সময়ে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরী হয়ে পড়েছে। সুতরাং যদি বিকল্প কোনো রাস্তা থাকে,তাহলে সে রাস্তায়-ই জরুরতকে পূর্ণ করা উচিৎ। যদি মৃতর হাড় ব্যতীত শিক্ষা গ্রহণের অন্য কোনো সুযোগ না থাকে, তাহলে হারবী কাফির বা মুরতাদ কাফিরের লাশ বা হাড়কে পরীক্ষা নিরীক্ষার স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে। (ফাতাওয়ায়ে ফাউজান-২/৪৪)
উত্তর দিচ্ছেনঃ
মুফতি রেজাউল করিম
মোবাঃ 01782-409169