দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যতম দীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর ‘কিসমুত তাখাস্সুস ফী উলূমিল হাদীস’ তথা উচ্চতর হাদিস গবেষণা বিভাগে মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান শুরু হয়েছে।
আজ (বুধবার) বেলা ১১টায় জামেয়ার সিনিয়র উস্তাদদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জামেয়ার উচ্চতর বিভাগে উন্নত বিশ্বের ন্যায় ক্লাসে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলো।
আরো পড়ুন আবু হানিফা কি মুরজিয়া ছিলেন? ক্লাসের শুরুতে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মাল্টিমিডিয়া স্ক্রিনে ‘ইলালুল হাদীসের’ উপর লিখিত কিতাবগুলো দেখেন এবং বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির সদ্ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মাল্টিমিডিয়ার যত সিস্টেম রয়েছে সবগুলােই মৌলিকভাবে নিস্কলুষ, খারাপ কিছু নয়। তবে মানুষের অপব্যবহারের কারণেই সমাজে খারাপ প্রভাব পড়ছে। এ সমস্ত খারাপ অগ্রযাত্রাকে রুখে দিয়ে মাল্টিমিডিয়ার সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে ৷
আরো পড়ুন বুখারী শরীফও ত্রুটিমুক্ত নয় তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে যত প্রকার ইলম এবং ফন তথা শাস্ত্র রয়েছে তন্মধ্যে শাখাগতভাবে সবচেয়ে বিস্তৃত ইলম ও ফন হল 'উলূমুল হাদীস'। এই শাস্ত্রের ব্যাপ্তিতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অত্র বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ডক্টর নুরুল আবসার আযহারী ইমাম হাযিমী রহ. এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,
إعلم أن علم الحديث يشتمل على أنواع كثيرة تبلغ مائة ، كل نوع منها علم مستقل لو أنفق الطالب فيه عمره لما أدرك نهايته.
অর্থ: ইলমুল হাদীসের প্রায় শতটি প্রকার রয়েছে, আর প্রত্যেকটি প্রকারই হল একেকটি স্বতন্ত্র শাস্ত্র, যদি কেউ এর একটি প্রকার অর্জনে গোটা জীবনও ব্যয় করে তবুও এর শেষ সীমা খুঁজে পাবে না ৷ (কিতাবুল উজালাহ)
এই একশত প্রকারের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ও বিস্তৃত এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রকার হল, ইলমুল ইলাল। যা আহলে ইলমদের মাঝে কারো অজানা নয় ৷ ইল্লতযুক্ত হাদীসগুলা থেকে ইল্লত খুঁজে বের করার জন্য একেকটি হাদীসকে প্রথমে তাখরীজ করে সমস্ত সনদ বের করতে হয় এবং প্রত্যেক সনদের রাবীগণের দিরাসাহ করতে হয়, আয়িম্মাতুল জারহি ওয়াত তাদীলের সকল বক্তব্য নকল করতে হয় ৷ আরো বিভিন্ন বিষয় লক্ষ্য করার পর একটি হাদীসের উপরে হুকুম লাগানো হয় ৷এই সমস্ত কাজ খাতা-কলমে কিংবা হোয়াইট বোর্ডে লিখে করাটা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার। অপরদিকে এই সমস্ত কাজ মাল্টিমিডিয়া সিস্টেমে করা হলে খুবই সহজ ।
আরো পড়ুন আবু হানিফা কে কি কুফরী হতে তাওবা করানো হয়ে ছিলো? মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে কয়েকটি মাধ্যম যেমন ল্যাপটপ, ইন্টারনেট মডেম, প্রজেক্টর, প্রজেক্টর স্ক্রিন ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা হয়। ছবি, গ্রাফিকস প্রভৃতি ব্যবহারের মাধ্যমে বিষয়টি সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয় বলে শিক্ষার্থীরা সহজ বুঝতে পারে।
আরো পড়ুন মসজিদে দুনিয়াবী কথা বলা কি হারাম? এদিকে ক্লাসে প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে ছাত্ররা জামিয়া কর্তৃপক্ষের প্রতি, বিশেষ করে উচ্চতর হাদীস বিভাগের সিনিয়র উস্তাদ মুফতি আব্দুল্লাহ নাজীব ও মাওলানা ড. নুরুল আবসারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
আজ (বুধবার) বেলা ১১টায় জামেয়ার সিনিয়র উস্তাদদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জামেয়ার উচ্চতর বিভাগে উন্নত বিশ্বের ন্যায় ক্লাসে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলো।
আরো পড়ুন আবু হানিফা কি মুরজিয়া ছিলেন? ক্লাসের শুরুতে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মাল্টিমিডিয়া স্ক্রিনে ‘ইলালুল হাদীসের’ উপর লিখিত কিতাবগুলো দেখেন এবং বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির সদ্ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মাল্টিমিডিয়ার যত সিস্টেম রয়েছে সবগুলােই মৌলিকভাবে নিস্কলুষ, খারাপ কিছু নয়। তবে মানুষের অপব্যবহারের কারণেই সমাজে খারাপ প্রভাব পড়ছে। এ সমস্ত খারাপ অগ্রযাত্রাকে রুখে দিয়ে মাল্টিমিডিয়ার সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে ৷
আরো পড়ুন বুখারী শরীফও ত্রুটিমুক্ত নয় তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে যত প্রকার ইলম এবং ফন তথা শাস্ত্র রয়েছে তন্মধ্যে শাখাগতভাবে সবচেয়ে বিস্তৃত ইলম ও ফন হল 'উলূমুল হাদীস'। এই শাস্ত্রের ব্যাপ্তিতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অত্র বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ডক্টর নুরুল আবসার আযহারী ইমাম হাযিমী রহ. এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,
إعلم أن علم الحديث يشتمل على أنواع كثيرة تبلغ مائة ، كل نوع منها علم مستقل لو أنفق الطالب فيه عمره لما أدرك نهايته.
অর্থ: ইলমুল হাদীসের প্রায় শতটি প্রকার রয়েছে, আর প্রত্যেকটি প্রকারই হল একেকটি স্বতন্ত্র শাস্ত্র, যদি কেউ এর একটি প্রকার অর্জনে গোটা জীবনও ব্যয় করে তবুও এর শেষ সীমা খুঁজে পাবে না ৷ (কিতাবুল উজালাহ)
এই একশত প্রকারের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ও বিস্তৃত এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রকার হল, ইলমুল ইলাল। যা আহলে ইলমদের মাঝে কারো অজানা নয় ৷ ইল্লতযুক্ত হাদীসগুলা থেকে ইল্লত খুঁজে বের করার জন্য একেকটি হাদীসকে প্রথমে তাখরীজ করে সমস্ত সনদ বের করতে হয় এবং প্রত্যেক সনদের রাবীগণের দিরাসাহ করতে হয়, আয়িম্মাতুল জারহি ওয়াত তাদীলের সকল বক্তব্য নকল করতে হয় ৷ আরো বিভিন্ন বিষয় লক্ষ্য করার পর একটি হাদীসের উপরে হুকুম লাগানো হয় ৷এই সমস্ত কাজ খাতা-কলমে কিংবা হোয়াইট বোর্ডে লিখে করাটা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার। অপরদিকে এই সমস্ত কাজ মাল্টিমিডিয়া সিস্টেমে করা হলে খুবই সহজ ।
আরো পড়ুন আবু হানিফা কে কি কুফরী হতে তাওবা করানো হয়ে ছিলো? মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে কয়েকটি মাধ্যম যেমন ল্যাপটপ, ইন্টারনেট মডেম, প্রজেক্টর, প্রজেক্টর স্ক্রিন ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা হয়। ছবি, গ্রাফিকস প্রভৃতি ব্যবহারের মাধ্যমে বিষয়টি সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয় বলে শিক্ষার্থীরা সহজ বুঝতে পারে।
আরো পড়ুন মসজিদে দুনিয়াবী কথা বলা কি হারাম? এদিকে ক্লাসে প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে ছাত্ররা জামিয়া কর্তৃপক্ষের প্রতি, বিশেষ করে উচ্চতর হাদীস বিভাগের সিনিয়র উস্তাদ মুফতি আব্দুল্লাহ নাজীব ও মাওলানা ড. নুরুল আবসারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।