ভূ-প্রাকৃতিক কারণেই প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগে নিপতিত হতে হয় উপকূলের বসবাসরত বাসিন্দাদের৷ ভিটেমাটি হারিয়ে বাস্তুহারা হয় ভুক্তভোগীরা৷
দেশে এবারের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবিলার যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে সরকারের।
২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক কক্সবাজার গড়ে তোলার সব উদ্যোগের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হচ্ছে।
১৯৯১ সালের ঝড়ে কক্সবাজারে আশ্রয়হীন হয়ে বিমানবন্দরের পাশে ঠাঁই নিয়েছিলেন অনেক পরিবার। বন্যা—দুর্যোগ কবলিত এসকল মানুষের স্থায়ী বসবাসের শক্তিশালী ব্যাবস্থা হলো এবার। কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে নির্মিত হয়েছে জলবাযু উদ্বাস্তুদের জন্য বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই বিশেষ আশ্রয় প্রকল্প।
এসব ভবনে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ২ রুমের ৪০৬ বর্গফুটের ফ্ল্যাটসহ থাকছে অন্যান্য নাগরিক সুবিধা। প্রথম ধাপে ৬০০ পরিবার এখানে বসবাস করতে পারবেন।পরবর্তীতে এই সংখ্যা দাঁড়াবে সাড়ে চার হাজার পরিবারের।
২৩ জুলাই সকালে বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এ সময় স্থায়ী নিবাস পাওয়া ভুক্তভোগীরা আবেগাপ্লুত হন কৃতজ্ঞতায়।
প্রথম ধাপে যারা এখানকার বাসিন্দা হচ্ছেন তাদের হাতে চাবি হস্তান্তর করার পাশাপাশি বুঝিয়ে দেয়া হয় মালিকানা৷
অনুষ্ঠানে সরকার প্রধান বলেন, "দেশের প্রতিটি গৃহহীন মানুষের থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে সরকার।" তিনি আরো বলেন, আধুনিক হবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার।
তিনি আরোও বলেন, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলেও ক্ষতিগ্রস্ত কেউ পুনর্বাসনের বাইরে থাকবে না।
অসহায় মানুষদের জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করতে সরকার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরোও পড়ুন মাস্ক পরে নামায আদায় করা যাবে কি?