"আয়া সোফিয়া"কে মসজিদে রুপান্তর৷ এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা৷ আধুনিক তুরস্কের স্থপতি(?) মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক ১৯৩৫ সালে যখন এটিকে মসজিদ থেকে মিউজিয়াম বা জাদুঘরে পরিণত করেছিলো তখন এমন সমালোচনা কেউ করেনি৷ এর কারণ হলো, সমালোচোকদের চুলকানি অনলি মুসলিম, মসজিদ, ইসলামি ঐতিয্য আর স্থাপত্য নিয়ে৷
ইউনেস্কো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, "স্থাপনাটিকে মসজিদের রূপান্তরের পদক্ষেপ ১৯৭২ সালের আইনের বরখেলাপ বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি"৷
এ উদ্বেগ অযৌক্তক৷ কারণ এরদোগান "আয়া সোফিয়া"কে তার মূল রুপে ফিরিয়ে এনেছেন৷ যা মেজোরিটি পার্সেন্ট মুসলিমের হৃদয়ের আকুতি৷
আয়া সোফিয়া আদিতে গির্জা ছিলো নাকি মসজিদ?
আয়া সোফিয়া মধ্যযুগের রোম সাম্রাজ্যের সাবেক রাজধানী কনস্টান্টিনোপলের (বর্তমান ইস্তাম্বুল) প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি মসজিদ যেটি আদিতে গির্জা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
(বিস্তারিত পড়তে লিঙ্কে ক্লিক করুন→https://bit.ly/3fgLUpo)
ষষ্ঠ শতকে বাইজেন্টাইন সম্রাট জাস্টিনিয়ানের সময়ে তৈরি করা হয় এটি৷ ১৪৫৩ সালে অটোমানরা কনস্টান্টিনোপল জয়ের পর দ্বিতীয় সুলতান মাহমুদ আল ফাতেহ এই ক্যাথিড্রালটিকে মসজিদে রূপান্তর করেন৷ আধুনিক তুরস্কের স্থপতি মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক এটিকে জাদুঘরে পরিণত করেন ১৯৩৫ সালে৷
(দেখুন→ https://bit.ly/3gPggQ9)
এরপর থেকে অসাম্প্রদায়িক তুরস্কের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল আয়া সোফিয়াকে৷
তুরস্কের প্রখ্যাত গবেষক সেলিম আকদুগান বলেন, সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহ মুসলিমদের নামাজ আদায়ের জন্য তা প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে ক্রয় করেছিলেন। কারণ কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের পর এখানে কোনো মসজিদ ছিল না।
তুরস্কের এ গবেষক আরো স্পষ্ট করে বলেছেন, সুলতান ফাতিহ আয়া সোফিয়া ও অন্যান্য স্থান ক্রয় করে মুসলিমদের বাইতুলমাল থেকে এর মূল্য পরিশোধ করেননি। বরং নিজের ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে তা খ্রিস্টান অর্থোডক্স পাদরিদের দিয়েছিলেন। কারণ তাঁর ইচ্ছা ছিল, আয়া সোফিয়াকে মসজিদ বানিয়ে আশপাশের এলাকাসহ মুসলিমদের কল্যাণে ‘ওয়াকফ’ করে দেওয়া। আর ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তিপত্রটি আজ অবধি আঙ্কারার "তার্কিশ ডকুমেন্ট অ্যান্ড আর্গুমেন্ট ডিপার্টমেন্ট"-এ সংরক্ষিত আছে।
(দেখুন→https://bit.ly/2DC6CCp)
আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরের নিন্দা করেছে যারা
১৷ রাশিয়ার সংসদের উচ্চ কক্ষের উপ-প্রধান ভ্লাদিমির জাবারোভ তুরস্ক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘‘এটিকে মসজিদে রূপান্তর মুসলিম বিশ্বের জন্য কোন কিছু বয়ে আনবে না৷ এর মাধ্যমে দেশগুলোর কোন ঐক্য তৈরি হবে না৷ বরং উলটো দিকে তাদের সংঘাতের পথে ঠেলে দিল৷’’
(আরো পড়ুন→আমি সফল হব https://bit.ly/2D7FKcV)
২৷ তুরস্কের এই সিদ্ধান্তকে হতাশাব্যাঞ্জক বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মর্গান অর্টাগুস বলেন,‘‘তুরস্কের সরকার আয়া সোফিয়াকে সব দর্শানার্থীর জন্য উন্মুক্ত রাখার কথা বলেছে৷ সেখানে কারো প্রবেশেই যাতে বাধা তৈরি না হয় সে বিষয়ে কী করা হবে যুক্তরাষ্ট্র সেই পরিকল্পনা জানার অপেক্ষায় আছে৷ এর আগে গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তুরস্ককে এমন সিদ্ধান্ত না নেয়ার আহবান জানিয়েছিল৷
৩৷ ইউনেস্কোর উদ্বেগ
১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়া জাতিসংঘের ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়৷ স্থাপনাটিকে মসজিদের রূপান্তরের পদক্ষেপ ১৯৭২ সালের আইনের বরখেলাপ বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি৷
(আরো পড়ুন→ওযু ছাড়া কুরআন অ্যাপ স্পর্শ করা ও পড়া যাবে কি? পড়তে এখানে ক্লিক করুন https://bit.ly/2VnasFa)