মুফতি রেজাউল করিম |
প্রিয় পাঠক! আমাদের সকলে মনের কামনা বাসনা থাকে জীবিত পিতা মাতার নামে কুরবানি করা৷ এটা আমরা করি তাদের সম্মানার্থে৷ তাদের ভক্তি শ্রোদ্ধার কারণে৷ (এক) তবে মনে রাখতে হবে যে, যদি আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব হয়ে থাকে আর আপনি যদি পিতা মাতার নামে কুরবানি করেন তাহলে আপনার ওয়াজিব কুরবানি আদায় হবে না৷ কারণ কুরবানি ওয়াজিব হয়েছে আপনার উপর তা আপনার নামে বা আপনার পক্ষ থেকেই আদায় করতে হবে৷
তবে হ্যা, যদি কুরবানি আপনার নামে করেন আর সওয়াব পিতা মাতাকে পৌঁছানোর নিয়ত করেন তাহলে কুরবানি আপনার পক্ষ থেকে আদায় হবে আর পিতা মাতা এর সওয়াবের অংশিদার হবেন ইনশায়াল্লাহ৷
আরো পড়ুন আমি সফল হব
আরো পড়ুন আমি সফল হব
(দুই) কুরবানীর জন্তু নিজে জবেহ করা উত্তম। নিজে না পারলে অন্যকে দিয়েও জবাই করাতে পারবে। অনেক সময় দেখা যায়, ইমাম সাহেব বা খতীব সাহেব কুরবানির জন্তুর গলায় ছুড়ি চালিয়ে জবাই সম্পন্ন না করে চলে যান৷ তখন কসাই বা অন্য কেউ জবাই সম্পন্ন করে থাকে। এতে কোনো সমস্যা নেই৷ তবে মনে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে অবশ্যই উভয়কেই নিজ নিজ যবাইয়ের আগে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়তে হবে। যদি কোনো একজন বিসমিল্লাহ না বলে তাহলে কুরবানি সহিহ হবে না ৷ গোশত ও হালাল হবে না৷ ( রদ্দুল মুহতার ৬/৩৩৪)
আরো পড়ুন শক্তিশালী ৮ টি উক্তি
আরো পড়ুন শক্তিশালী ৮ টি উক্তি