SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন?

 

SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন


SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল৷ নাম শুনেছেন হয়তো৷ আর্টিকেল ইজ এ কিং৷ এটা সত্য৷ তবে শর্ত হলো, আর্টিকেলটি এস ই ও ফ্রেন্ডলি হতে হবে৷ আর্টিকেল থেকে যদি পাঠক খোরাক না পায়৷ কোনো তথ্য উপাত্ত না পায়৷ তাহলে কেন আপনার ব্লগ সে ভিজিট করবে? ভিজিটর ধরে রাখার একমাত্র উপায় হলো, SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল৷ তাই আজকের বিষয়, SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন? চলুন শুরু করি,

(১) কি ওয়ার্ড রিসার্চ

Ads by bdshop


SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জন্য আপনার প্রথম কাজ হলো, 'কি ওয়ার্ড' রিসার্চ করা৷ আপনি এমন একটি 'কি ওয়ার্ড' নির্বাচন করবেন যার সার্চ ভলিউম ভালো৷ অন্যথায় আপনার আর্টিকেল র্যাঙ্ক করবে না৷  কি-ওয়ার্ড রিসার্চের জন্য এই টুলটি ইউজ করতে পারেন৷ 

 

'কি ওয়ার্ড' নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় 'কি ওয়ার্ড' নির্বাচন করবেন৷ ছোট 'কি ওয়ার্ড' র্যাঙ্ক করানো খুবই কষ্টের ব্যাপার৷ অবশ্য ছোট কি ওয়ার্ড টি  'পার্মালিঙ্ক' হিসেবে ব্যাবহার করতে পারেন৷ 
যেমন ধরুন, আপনার নির্বাচিত কি ওয়ার্ড হলো, 'সহীহ হাদীস কি বুখারী মুসলিমে সিমাবদ্ধ?' এটা আপনি টাইটেলে ব্যাবহার করলেন আর পার্মালিঙ্কে ব্যবহার করলেন,  'বুখারী ও মুসলিম'৷

(২) SEO ফ্রেন্ডলি টাইটেল নির্বাচন করা৷ মনে রাখবেন, কন্টেন্টের টাইটেল মোস্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ নির্বাচিত কি-ওয়ার্ডের আগে পরে কিছু ওয়ার্ড যুক্ত করে টাইটেল কে সুন্দর করুন৷ যেমন, আপনার কি-ওয়ার্ড হলো, বিতর নামায৷ তো আপনার টাইটেল হবে এমন, 'বিতর নামায এক রাকাত নাকি তিন রাকাত৷' আপনা সুন্দর টাইটেল দেখেই ভিজিটর আপনার ব্লগ ভিজিট করবে৷ সার্চ ইঞ্জিনগুলো টাইটেল দেখেই আপনার ব্লগ পোস্ট র্যাঙ্ক করাবে৷


(৩) HEAD TAG এর কারেক্ট ব্যবহার

কন্টেন্টের টাইটেল অলওয়েজ h1 পাবলিশ হয়৷ h1 একবারের বেশি ব্যবহার করা অনুচিত৷ একবারের বেশি h1 ব্যবহার করলে আপনার কন্টেন্টটি SEO ফ্রেন্ডলি হবে না৷ বডি শেকসনের সাব হেডিংগুলো ধারাবাহিক ভাবে  h2, h3, h4 পর্যন্ত রাখাই ভালো৷

(২) প্যারা গ্রাফ শুরু করুন  মেইন 'কি ওয়ার্ড' দিয়ে বা মেইন 'কি ওয়ার্ড টি আর্টিকেলের শুরুতে রাখুন৷ এবং বোল্ড করে ফোকাস করে দেখান৷  প্যারা গ্রাফ শেষও করবেন মেইন কি-ওয়ার্ড দিয়৷ আর টাইটেলের ফন্ট সাইজ দিবেন 'এইচ ওয়ান' ( h1)৷ তাহলে SEO এর জন্য খুব ভালো হবে৷ এবং খুব দ্রুত আপনার আর্টিকেলটি গুগলের ফাস্ট পেজে র্যাঙ্ক করবে৷


(৩) ইউনিক আর্টিকেল এবং লং আর্টিকেল৷


যদি কপি পেষ্ট করার ইচ্ছে থাকে তাহলে ব্লগিং করা আপনার জন্য না৷ আপনি অন্য কিছু করুন৷ গুগলে ওই আর্টিকেলই র্যাঙ্ক হবে বা ফ্রেন্ডলি হবে যেটা ১০০% ইউনিক৷ তাই সময় নিয়ে নিজের ভাষায় সুন্দর করে লিখুন৷ হ্যা, তবে গুগল থেকে ইনফরমেশন ও তথ্য আপনি নিতে পারবেন৷ আপনার আর্টিকেল কত পার্সেন্ট ইউনিক তা এই টুল দিয়ে যাচাই করুন৷


আমি "লং আর্টিকেল" বলতে বুঝাচ্ছি, আপনার আর্টিকেলের ওয়ার্ড সংখ্যা যেন ৮০০+ হয়৷ যদি শব্দ সংখ্যা ঠিক থাকে আর্টিকেল যদি তথ্যবহুল হয় তাহলে আপনার ব্লগ গুগল ফাস্ট পেজে চলে আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র৷ তাই মনে রাখবেন এবং চেষ্টাও করবেন সর্বদা লং আর্টিকেল লিখতে৷ আই মিন, মিনিমাম ১০০০ ওয়ার্ডের৷  আমি চেষ্টা করি সর্বদা ১০০০+ শব্দের আর্টিকেল লিখতে৷ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ কারণ,  আপনার মত অনেকেই এ আর্টিকেলটি লিখেছে ৷ তো গুগল কেন আপনার আর্টিকেলকে র্যাঙ্ক করাবে? যদি আপনার আর্টিকেলটি ইউনিক হয় এবং তাদের আর্টিকেলের চেয়ে শব্দের সংখ্যা বেশি হয় তাহলে গুগল র্যাঙ্ক করাতে বাধ্য৷


(৪) ৪০০/৫০০ ওয়ার্ড পরপর মেইন কি-ওয়ার্ড ইউজ করুন৷ আই মিন, জোড় করে নয়৷ এমন ভাবে আর্টিকেল লিখবেন যে, কি ওয়ার্ড চলে আসবে৷ যেমন ধরুন, আপনি মোবাইলের অপকারীতা বিষয়ে কন্টেন্ট লিখছেন৷ আর আপনার কি ওয়ার্ড হলো, মোবাইল ছাত্রদের জন্য কালসাপের মত৷ তো এক পর্যায় লিখে ফেললেন, বিশেষ করে বর্তমান সময়ে মোবাইল ছাত্র ছাত্রীদে জন্য কালসাপের মত৷ বাস, হয়ে গেল৷


(৫) কন্টেন্টের মাঝে ইন্টারনাল লিঙ্ক যুক্ত করা৷ ইন্টারনাল লিঙ্ক হলো, আপনা ওয়েব সাইটের কন্টেন্টের ভেতর আপনারই ওয়েব সাইটের অন্য কোনো পোস্টের লিঙ্ক যুক্ত করা৷ এতে ভিজিটর আপনার ওয়েব বা ব্লগ সাইটে লং টাইম অবস্থান করবে৷ তাতে আপনার বাউন্স রেট কমবে৷ মনে রাখবেন, বাউন্সরেট যত কম হবে ততই আপনার ভালো৷ বাউন্স রেট নিয়ে সামনের পোষ্টে বিস্তারিত লেখব ইনশাআল্লাহ৷


(৬) আর্টিকেলের মাঝে কয়েকটি এক্সটারনাল লিঙ্ক ইউজ করুন৷ এক্সটারনাল লিঙ্ক হলো, অন্য কোনো পোপুলার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক আপনার কন্টেন্টের ভেতর লিঙ্ক করা৷ যেমন, এতে আপনার লাভ হলো, অাপনার ওয়েব সাইট থেকে বিভিন্ন পোপুলার ওয়েব সাইটে যেতে পারবে৷ এতে সে বারবার আপনার ব্লগে ঢুকতে চাইবে৷


(৭) সার্চ পারফামান্সেও আপনা মেইন কি-ওয়ার্ড থাকে৷  তা ছাড়া আরো কিছু সেমিলার কি-ওয়ার্ড গুগল থেকে নিয়ে সে খানে রাখবেন৷


       SEO নিয়মে ইমেজ ব্যবহার করুন


ইমেজ এস ই ও করবেন কিভাবে

ইমেজ SEO কেন করবেন? ইমেজ SEO এই জন্য করবেন যে, আপনার আমার ওয়েব বা ব্লগ সাইটে যত ভিজিটর আসে তার প্রায় ৫০% ইমেজে ক্লিক করে আসে৷ আপনি যদি আপনার ব্লগ পোষ্টের ইমেজটি SEO করেন তাহলে আপনার কি ওয়ার্ড লিখে কেউ ইমেজ সার্চ করলে আপনার ইমেজটি প্রদর্শিত হবে৷ এরপর ভিজিটর সোজা আপনার ব্লগে প্রবেশ করবে৷ 


ইমেজ বা থামনেইল ইউজ করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে যা করণীয়৷

(১) select the right image: অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন ইমেজটি যেন সেই আর্টিকেল অনুযায়ী হয়৷ মনে করুন, আপনি আর্টিকেল লিখলেন, "অযু ছাড়া কুরআন অ্যাপ স্পর্শ ও পড়া যাবে কি?" তো ইমেজটি হতে হবে কুরআন অ্যাপস সম্বলিত৷ বা অনলি একটি ইমেজ তাতে এ হেডিং লেখা রয়েছে৷ 

(২) scale image:  ইমেজ সাইজ (640×360) রাখা আবশ্যক৷ তা না হলে সুন্দরভাবে শো করবে না৷ স্কেল করার জন্য ফটোশপ বা অন্যকোনো অনলাইন সফটওয়্যার ইউজ করতে পারেন৷ মনে রাখবেন, ইমেজ সাইজ যদি বেশি বড় হয় তাহলে ব্লগ সাইট বা ওয়েব সাইট স্লো হয়ে যাবে৷ এতে আপনি ভিজিটর হারাবেন৷ 

(৩) Optimize image size: অর্থাৎ আপনার ইমেজটি এম বি বা কিলোবাইট কমানো৷ এজন্য ইমেজ কমপ্রেজ ইউজ করতে পারেন৷বা টাইনি পি এন জি টুলটিও ইউজ করতে পারেন৷ মনে রাখবেন, ইমেজের কন্ডিশন ঠিক রেখে সাইজ যত কমাবেন আপনার জন্য ততোই মঙ্গলজনক৷

(৪) image file name: অর্থাৎ আপনার ইমেজটির একটি নাম ব্যবহার করুন৷ আর অবশ্যই নামটি যেন আপনা ফোকাস 'কি-ওয়ার্ড' হয়৷ 'কি ওয়ার্ডের' মধ্যে স্পেসের পরিবর্তে হাইফেন ব্যবহার করুন৷ এটাই SEO এর জন্য বেটার৷ 

(৫) Image alt text: এটি SEO এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই alt text দিবেন৷ সবচেয়ে বেটার হলো, alt text ও আপনার ফোকাস 'কি ওয়ার্ড ইউজ করা৷'

(৬) 100% copyright free image: ইমেজটি ১০০% কপিরাইট ফ্রি ইমেজ হতে হবে৷ এমন যেন না হয় যে, অন্যের কোনো সাইট থেকে ডাউনলোড করে নিজের সাইটে ইউজ করলেন৷ 


প্রিয় ভিজিটর! আমরা যদি ইমেজ অপটিমাইজ করতে চাই তাহলে সংক্ষেপে ছয়টি বিষয় মনে রাখতে হবে৷

(১) select the right image
(২) scale image
(৩) Optimize image size
(৪) image file name
(৫) Image alt text
(৬) 100% copyright free image

SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কিভাবে লিখতে তা বুঝানোর একটু চেষ্টা করলাম৷ হয়ত বুঝতে পেরেছেন৷ কোনো পয়েন্ট না বুঝলে কমেন্ট করে জানান৷ ক্লিয়ার করার  ট্রাই করবো৷ ভালো থাকুন৷ আজ এ পর্যন্তই!
সত্য প্রকাশ

আমার নামঃ মুফতি রেজাউল করিম। আমি একটি কওমী মাদরাসায় শিক্ষকতা করছি। পাশাপাশি এ ব্লগের সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান থাকায় সময় পেলে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করি। যেন অনলাইনেও মানুষ ইসলামি জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আপনিও চাইলে এ ব্লগে লিখতে পারেন। মোবাইলঃ 01782-40 91 69

Please Select Embedded Mode For Blogger Comments

নবীনতর পূর্বতন