(১) কি ওয়ার্ড রিসার্চ
SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জন্য আপনার প্রথম কাজ হলো, 'কি ওয়ার্ড' রিসার্চ করা৷ আপনি এমন একটি 'কি ওয়ার্ড' নির্বাচন করবেন যার সার্চ ভলিউম ভালো৷ অন্যথায় আপনার আর্টিকেল র্যাঙ্ক করবে না৷ কি-ওয়ার্ড রিসার্চের জন্য এই টুলটি ইউজ করতে পারেন৷
(২) SEO ফ্রেন্ডলি টাইটেল নির্বাচন করা৷ মনে রাখবেন, কন্টেন্টের টাইটেল মোস্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ নির্বাচিত কি-ওয়ার্ডের আগে পরে কিছু ওয়ার্ড যুক্ত করে টাইটেল কে সুন্দর করুন৷ যেমন, আপনার কি-ওয়ার্ড হলো, বিতর নামায৷ তো আপনার টাইটেল হবে এমন, 'বিতর নামায এক রাকাত নাকি তিন রাকাত৷' আপনা সুন্দর টাইটেল দেখেই ভিজিটর আপনার ব্লগ ভিজিট করবে৷ সার্চ ইঞ্জিনগুলো টাইটেল দেখেই আপনার ব্লগ পোস্ট র্যাঙ্ক করাবে৷
(২) প্যারা গ্রাফ শুরু করুন মেইন 'কি ওয়ার্ড' দিয়ে বা মেইন 'কি ওয়ার্ড টি আর্টিকেলের শুরুতে রাখুন৷ এবং বোল্ড করে ফোকাস করে দেখান৷ প্যারা গ্রাফ শেষও করবেন মেইন কি-ওয়ার্ড দিয়৷ আর টাইটেলের ফন্ট সাইজ দিবেন 'এইচ ওয়ান' ( h1)৷ তাহলে SEO এর জন্য খুব ভালো হবে৷ এবং খুব দ্রুত আপনার আর্টিকেলটি গুগলের ফাস্ট পেজে র্যাঙ্ক করবে৷
(৩) ইউনিক আর্টিকেল এবং লং আর্টিকেল৷
যদি কপি পেষ্ট করার ইচ্ছে থাকে তাহলে ব্লগিং করা আপনার জন্য না৷ আপনি অন্য কিছু করুন৷ গুগলে ওই আর্টিকেলই র্যাঙ্ক হবে বা ফ্রেন্ডলি হবে যেটা ১০০% ইউনিক৷ তাই সময় নিয়ে নিজের ভাষায় সুন্দর করে লিখুন৷ হ্যা, তবে গুগল থেকে ইনফরমেশন ও তথ্য আপনি নিতে পারবেন৷ আপনার আর্টিকেল কত পার্সেন্ট ইউনিক তা এই টুল দিয়ে যাচাই করুন৷
আমি "লং আর্টিকেল" বলতে বুঝাচ্ছি, আপনার আর্টিকেলের ওয়ার্ড সংখ্যা যেন ৮০০+ হয়৷ যদি শব্দ সংখ্যা ঠিক থাকে আর্টিকেল যদি তথ্যবহুল হয় তাহলে আপনার ব্লগ গুগল ফাস্ট পেজে চলে আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র৷ তাই মনে রাখবেন এবং চেষ্টাও করবেন সর্বদা লং আর্টিকেল লিখতে৷ আই মিন, মিনিমাম ১০০০ ওয়ার্ডের৷ আমি চেষ্টা করি সর্বদা ১০০০+ শব্দের আর্টিকেল লিখতে৷ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ কারণ, আপনার মত অনেকেই এ আর্টিকেলটি লিখেছে ৷ তো গুগল কেন আপনার আর্টিকেলকে র্যাঙ্ক করাবে? যদি আপনার আর্টিকেলটি ইউনিক হয় এবং তাদের আর্টিকেলের চেয়ে শব্দের সংখ্যা বেশি হয় তাহলে গুগল র্যাঙ্ক করাতে বাধ্য৷
(৪) ৪০০/৫০০ ওয়ার্ড পরপর মেইন কি-ওয়ার্ড ইউজ করুন৷ আই মিন, জোড় করে নয়৷ এমন ভাবে আর্টিকেল লিখবেন যে, কি ওয়ার্ড চলে আসবে৷ যেমন ধরুন, আপনি মোবাইলের অপকারীতা বিষয়ে কন্টেন্ট লিখছেন৷ আর আপনার কি ওয়ার্ড হলো, মোবাইল ছাত্রদের জন্য কালসাপের মত৷ তো এক পর্যায় লিখে ফেললেন, বিশেষ করে বর্তমান সময়ে মোবাইল ছাত্র ছাত্রীদে জন্য কালসাপের মত৷ বাস, হয়ে গেল৷
(৫) কন্টেন্টের মাঝে ইন্টারনাল লিঙ্ক যুক্ত করা৷ ইন্টারনাল লিঙ্ক হলো, আপনা ওয়েব সাইটের কন্টেন্টের ভেতর আপনারই ওয়েব সাইটের অন্য কোনো পোস্টের লিঙ্ক যুক্ত করা৷ এতে ভিজিটর আপনার ওয়েব বা ব্লগ সাইটে লং টাইম অবস্থান করবে৷ তাতে আপনার বাউন্স রেট কমবে৷ মনে রাখবেন, বাউন্সরেট যত কম হবে ততই আপনার ভালো৷ বাউন্স রেট নিয়ে সামনের পোষ্টে বিস্তারিত লেখব ইনশাআল্লাহ৷
(৬) আর্টিকেলের মাঝে কয়েকটি এক্সটারনাল লিঙ্ক ইউজ করুন৷ এক্সটারনাল লিঙ্ক হলো, অন্য কোনো পোপুলার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক আপনার কন্টেন্টের ভেতর লিঙ্ক করা৷ যেমন, এতে আপনার লাভ হলো, অাপনার ওয়েব সাইট থেকে বিভিন্ন পোপুলার ওয়েব সাইটে যেতে পারবে৷ এতে সে বারবার আপনার ব্লগে ঢুকতে চাইবে৷
(৭) সার্চ পারফামান্সেও আপনা মেইন কি-ওয়ার্ড থাকে৷ তা ছাড়া আরো কিছু সেমিলার কি-ওয়ার্ড গুগল থেকে নিয়ে সে খানে রাখবেন৷
SEO নিয়মে ইমেজ ব্যবহার করুন
ইমেজ SEO কেন করবেন? ইমেজ SEO এই জন্য করবেন যে, আপনার আমার ওয়েব বা ব্লগ সাইটে যত ভিজিটর আসে তার প্রায় ৫০% ইমেজে ক্লিক করে আসে৷ আপনি যদি আপনার ব্লগ পোষ্টের ইমেজটি SEO করেন তাহলে আপনার কি ওয়ার্ড লিখে কেউ ইমেজ সার্চ করলে আপনার ইমেজটি প্রদর্শিত হবে৷ এরপর ভিজিটর সোজা আপনার ব্লগে প্রবেশ করবে৷