প্রিয় পাঠক! যারা মোটামুটি দিনের কিছু সময় অনলাইনে অতিবাহিত করেন। সবাই জেনে থাকবেন হয়তো “ফেইস দ্যা পিপল” নামের একটি ফেইসবুক পাতায় শাহরিয়ার কবির এবং এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেবের একটি বিতর্ক সম্প্রতি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সম্ভবত আরো একটি লাইভ আলোচনার আয়োজন হতে যাচ্ছে, যেখানে বাঙলাদেশের একজন ইসলামিক স্কলার আমার সাথে আলাপ আলোচনা বা বিতর্ক করবেন ইসলাম এবং নাস্তিকতা নিয়ে। যে আলোচনায় নাস্তিকতার পক্ষে থাকবে সবার সুপরিচিত নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দীন।
আসিফ মহিউদ্দীন একটি শর্তে আলেমদের সাথে আলোচনায় বসতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। শর্তটি
হলো,
- সবার কাছে গ্রহণযোগ্য কোন স্কলারকে আনাতে হবে। যেমন-
- ড আবু বকর যাকারিয়া সাহেব।
- আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ
- মুফতি ইব্রাহিম
- এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী
- শায়খ আহমাদুল্লাহ
- মামুনুল হক
- অথবা মিজানুর রহমান আজহারি
আসিফ মহিউদ্দীন তার ফেসবুকে এক পোষ্টে বলেন,
অনেকেই মেসেজে জানতে চেয়েছেন, ফেইস দ্যা পিপল পাতাটিতে নাস্তিক্যবাদ এবং আমাকে নিয়ে কথা হচ্ছে, সেই কথাগুলোর সত্যতা নিয়ে। সেই বিষয়ে বলছি।
ফেইস দ্যা পিপল নামের একটি ফেইসবুক পাতা, যারা প্রায়শই বিভিন্ন ধরণের আলোচনা এসব বিতর্কের আয়োজন করেন, তাদের সাথে সম্প্রতি আমার যোগাযোগ হয়েছে। তাদের পাতা থেকে সম্প্রচারিত শাহরিয়ার কবির এবং এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেবের একটি বিতর্ক সম্প্রতি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সম্ভবত আরো একটি লাইভ আলোচনার আয়োজন হতে যাচ্ছে, যেখানে বাঙলাদেশের একজন ইসলামিক স্কলার আমার সাথে আলাপ আলোচনা বা বিতর্ক করবেন ইসলাম এবং নাস্তিকতা নিয়ে। মডারেটর হিসেবে থাকবেন Face The People-ফেস দ্যা পিপল পাতাটির সঞ্চালক Shaifur Rahman সাহেব।
আরোও পড়ুন: কীভাবে ঘরে বসে মাসে দশ হাজার টাকা আয় করবেন।
আমি অবশ্যই আলোচনাতে সম্মত আছি। তবে অবশ্যই আলোচনাটি কোন একজন ইসলামিক স্কলারের সাথে হতে হবে, এমনটিই আমি উনাদের জানিয়েছি৷ কারণ দেখা যায়, অমুক পন্থী ইসলামিক স্কলার আসলে অন্য স্কলাররা উনাকে আর স্কলার বলে মানে না। তাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য কোন স্কলারকে আনা হলেই ভাল হয়।
এই বিষয়ে আমি মনে করি, বাঙলাদেশের সবচাইতে বড় ইসলামিক স্কলার ড আবু বকর যাকারিয়া সাহেব একজন ভাল আলোচক হতে পারেন। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, মুফতি ইব্রাহিম, এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, আহমাদুল্লাহ, মামুনুল হক অথবা মিজানুর রহমান আজহারিও হতে পারেন। যাকারিয়া এবং রাজ্জাক সাহেব দুইজনকেই আমি সত্যবাদী বলে মনে করি। উনারা বিতর্কে জেতার জন্য কখনই ইসলাম নিয়ে মিথ্যা বলবেন না। উনারা আসলে নিশ্চয়ই আমার মত নাস্তিকের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে পারবেন। অন্য যারা আছেন তারাও অবশ্যই ভাল স্কলার, তবে আমার সন্দেহ আছে, নানান অজুহাত দিয়ে উনারা হয়তো কেউই আসবেন না৷ বলবেন ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকের সাথে কথা বলা যাবে না৷
বাঙলাদেশের হাজারো ইসলামিক স্কলার প্রায় প্রতিদিনই নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ওয়াজ করেন। মাঠে ময়দানে হুংকার দেন। আমাদের জবাই করতে চান। আমি আশা করবো, উনারা সরাসরি একজন নাস্তিকের সাথে বসেই নাস্তিকদের সাথে বিতর্ক করবেন। মাঠে ময়দানে নাস্তিক নাস্তিক বলে গলা না ফাটিয়ে সরাসরি কথা বলাই উত্তম। এটিই সকলের জন্য ভাল পদ্ধতি। আলাপ আলোচনা সুস্থ বিতর্ক আমি সবসময় সমর্থন করি। চাপাতি নয়, কলম এবং যুক্তিই হোক আমাদের লড়াইয়ের অস্ত্র।
আরোও পড়ুন: ফাইভার থেকে আয়ের সহজ কিছু পদ্ধতি
তবে আমি নিশ্চিতভাবে বলে দিতে পারি, কোন প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক স্কলার আমাদের সাথে বিতর্কে আসতে চাইবে না। কারণ নাস্তিকরা ইসলামের খুঁটিনাটি বিষয়াদি বেশ ভালভাবেই জানে। ওয়াজের নামে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা তারা হারাতে চাইবে না অবশ্যই। এখন উনারা বলবেন, নাস্তিকদের সাথে উনারা বসবেনই না। কিন্তু ইমাম আবু হানিফার মত প্রখ্যাত ইসলামিক ব্যক্তিত্ত্বও কিন্তু নাস্তিকদের সাথে বিতর্ক করেছে। তাই এসব অজুহাত খুবই হাস্যকর।
নিশ্চিত নই, আশা রাখি, ফেইস দ্যা পিপল নিশ্চয়ই কোন ইসলামিক স্কলারকে নিয়ে আসবেন। ইসলামিক স্কলাররা যদি প্রয়োজন মনে করেন, ইসলামের গ্রন্থাবলীও সাথে রাখতে পারেন। রেফারেন্স যাচাই করার জন্য। আশাকরি আমিও রেফারেন্স সহকারে কথা বলবো, উনারাও সেটিই করবেন। আমার মনে হয়, এটি উনাদের জন্যেও একটি মোক্ষম সুযোগ। নাস্তিকদের জবাব দিতে পারলে উনারা খুব দ্রুতই আরো বেশি মানুষের সমর্থন পাবেন।
জ্বী, আমি ইসলামের রেফারেন্স বইপত্র নিয়ে প্রস্তুত আছি।
আরো পড়ুন: এখান থেকে ফাইভারে এ্যাকাউন্ট খুলে দুই হাজার টাকা নিয়ে নিন