হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস রাযিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
إِنَّ لِلصَّائِمِ عِنْدَ فِطْرِهِ لَدَعْوَةً مَا تُرَدُّ
অর্থঃ নিশ্চয় ইফতারের সময় রোযাদারের দুআকে ফিরিয়ে দেয়া হয় না। (সুনানে ইবন মাজাহ, হাদীস নং-১৭৫৩)
এ ছাড়াও রয়েছে দোয়া কবুলের বিভিন্ন সময়৷ যে সময়গুলোতে আমাদের দোয়ার প্রতি ইহতিমাম ও গুরুত্ব দেওয়া উচিত ৷ আল্লাহর কাছে চেয়ে আমরা পূরণ করতে পারি আমাদের মনের তামান্না ও নেক আশা ৷
যাই হোক, প্রিয় ভিজিটর আজ আমি এ প্রবন্ধে আলোচনা করব ইফতারের সহীহ দোয়া ও আহলে হাদীসদের বাড়াবাড়ি নিয়ে৷
আমি শাইখ মতিউর রহমান মাদানীর একটি ভিডি দেখতেছিলাম ৷ সেই ভিডিও তে তিনি বলেছিলেন, হানাফিরা ইফতারের সময় যে দোয়াটি পড়ে অর্থাৎ
اَللّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلي رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
এ দোয়াটি যয়ীফ ও দুর্বল ৷ এটা পড়া যাবে না৷
শাইখ মতিউর রহমান মাদানী এখানে চরম মিথ্যাচার করেছেন ৷ কারন, এ দোয়াটি যে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে সে হাদীসটি যয়ীফ নয় বরং মুরসাল ৷
এখন প্রশ্ন হলো, মুরসাল হাদীস আমলযোগ্য কি না ? তার উপর আমল করা যায় কি না ? তা বিস্তারিত জানতে এ লিঙ্কে ক্লিক করুন ৷
পাঠকদের উদ্দ্যেশ্যে এখানে সংক্ষেপে একটু বলে যাই, মুরসাল ও যয়ীফ হাদীস আমলযোগ্য ৷ তার উপর আমল করা যাবে ৷ বিশেষ করে যদি তা ফাযায়েল সংক্রান্ত হয়৷ তবে শর্ত হলো, চরম পর্যায়ের দূর্বল না হতে হবে এবং হাদীসের কোনো রাবী মিথ্যাবাদি না হতে হবে ৷
পাঠক আসুন, এবার আমরা ইফতারের সঠিক ও নির্ভুল দোয়া শিখে নেই ৷
ইফতারের কিছুক্ষণ পূর্বে এ দু‘আটি বেশী বেশী পড়তে হবে —
يَا وَا سِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْلِىْ
উচ্চারণ: ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতি, ইগফিরলী।
অর্থঃ হে মহান ক্ষমা দানকারী! আমাকে ক্ষমা করুন। (শু‘আবুল ঈমান: ৩/৪০৭)
بِسْمِ اللهِ وَعَلى بَرَكَةِ اللهِ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ওয়া ‘আলা বারাকাতিল্লাহ
বলে ইফতার শুরু করবে এবং ইফতারের পর নিম্নের দুটি দু‘আ পড়বে৷
اَللّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلي رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়ালা রিযকিকা আফতারতু।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য রোজা রেখেছি, এবং তোমারই দেয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করলাম। (আবূ দাঊদ: ১/৩২২)
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْـتَلَّتِ العُرُوْقُ وَثَبَتَ الاَ جْرُ اِنْ شَاءَ الله تَعَا لى
উচ্চারণ: যাহাবাযযমা ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহু তায়ালা।
অর্থঃ পিপাসা দূরিভূত হয়েছে, ধমনীসমূহ সতেজ হয়েছে, এবং ইনশাআল্লাহ রোজার সওয়াব নিশ্চিত হয়েছে। (আবূ দাঊদ: ১/৩২১)