﴿ذَٰلِكَۖ وَمَن يُعَظِّمۡ شَعَٰٓئِرَ ٱللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقۡوَى ٱلۡقُلُوبِ ٣٢﴾ [الحج: ٣٢]
“আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করলে এটা তার হৃদয়ের তাকওয়া থেকে উদ্ভূত বা আল্লাহ সচেতনতার লক্ষণ।” [সূরা আল-হাজ, আয়াত: ৩২]
শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসায়মীন রহ. বলেন, নবী-রাসূলদের সুন্নাত ও পথ নির্দেশনাই হলো দাড়ি রাখা। সকল নবীর দাড়ি ছিল। কেউই শেভ করে নি, দাড়িতে স্টাইল করেন নি। মহান আল্লাহ নবী হারূন আলাইহিস সালামের প্রসঙ্গ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, যখন হারূন আলাইহিস সালাম তার ভাই মূসা আলাইহিস সালামকে বলেন,
﴿قَالَ يَبۡنَؤُمَّ لَا تَأۡخُذۡ بِلِحۡيَتِي وَلَا بِرَأۡسِيٓۖ إِنِّي خَشِيتُ أَن تَقُولَ فَرَّقۡتَ بَيۡنَ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ وَلَمۡ تَرۡقُبۡ قَوۡلِي ٩٤﴾ [طه: ٩٤]
“হারূন বললেন: ‘হে আমার সহোদর! আমার দাড়ি ও চুল ধরবেন না। আমি আশংকা করেছিলাম যে, আপনি বলবেন: তুমি বনী ইসরাঈলদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছো ও আমার কথা শোনায় যত্নবান হও নি।” [সূরা ত্বাহা, আয়াত: ৯৪]
তাছাড়াও দাড়ির ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরাম এবং সালাফে সালেহীন তথা আমাদের নেককার উত্তরসূরীরাও আমাদেরকে সঠিক পথ নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তাদের কেউই দাড়ি শেভ করতেন না।
আরও পড়ুন:শিশুকে কত বছর মায়ের দুধ পান করানো যাবে
মুসলমানদের দাড়ী রাখা ওয়াজিব। এটা মুসলমানিত্বের প্রতীক। এটা সমস্ত নবীদের সুন্নাত। স্ত্রীকে খুশি করতে এ ওয়াজিব বিধান ছেড়ে দিলে কবীরা গোনাহ হবে।
যদি তাকে বুঝানোর পরও না মানে, তাহলে আপনার বিবি ইসলামী জীবন বিধান পছন্দ না করার কারণে তাকে ছেড়ে দিতে পারেন। কিন্তু দাড়ি রাখা ছাড়া যাবে না।
আর টাখনুর উপরে জামা পরিধান করা পুরুষের জন্য আবশ্যক। কারণ, হাদীসে এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা আসছে যে, টাখনুর নিচে যে জামা থাকে, তা জাহান্নামে যাবে।
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( خالفوا المشركين وفروااللحى وأحفوا الشوارب . وكان ابن عمر إذا حج أو اعتمر قبض على لحيته فما فضل أخذه
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা মুশরিকদের বিরোধীতা কর। দাড়ি লম্বা কর। আর গোঁফকে খাট কর।
আর ইবনে ওমর রাঃ যখন হজ্ব বা ওমরা করতেন, তখন তিনি তার দাড়িকে মুঠ করে ধরতেন, তারপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৫৫৩}
عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” لَا طَاعَةَ لِبَشَرٍ فِي مَعْصِيَةِ اللهِ
হযরত আলী রাঃ থেকে বর্নিত। রাসূ সাঃ ইরশাদ করেছেন, আল্লাহর নাফরমানীর করে কোন মানুষের আনুগত্য করা জায়েজ নয়। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১০৬৫}
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا أَسْفَلَ مِنَ الكَعْبَيْنِ مِنَ الإِزَارِ فَفِي النَّارِ»
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, টাখনুর নিচের যে অংশ পায়জামা বা লুঙ্গি দ্বারা ঢাকা থাকে তা জাহান্নামে যাবে। {বুখারী, হাদীস নং-৫৭৮৭, ৫৪৫০}
আরও পড়ুন: আত্মহত্যাকারী ব্যক্তিকি চিরস্থায়ী জাহান্নামী? আত্মহত্যাকারীর জন্য দোয়া করা যাবে কি?
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দাড়ি রাখার মাধ্যমে নবিজীর প্রকৃত অনুসারি হওয়ার তাওফিক দান করুন। কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।