ইন্টারনেট এর একদম শুরু থেকে আজ পর্যন্ত চিন্তা করলে অনেক পরিবর্তন আপনি দেখতে পারবেন। সেই প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ইউজার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া কিন্তু চারটি খানি কথা নয়। হ্যাঁ, এমনটি একটি রিপোর্টে দেখাচ্ছে যে গত ২৬ বছরে নেট ব্যবহার কারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এতটা। সেই সাথে অনেকে অনলাইনে একবারে লেগে পড়েছেন। অনলাইনেই অনেকে নিজের ক্যারিয়ার খুঁজে পেয়ছেন। অনেকের পার্ট টাইম ইনকাম এর স্থান হিসাবে অনলাইন বিপুল বিখ্যাত।
অনলাইন জগতটি এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠার অনেক কারণই রয়েছে। তন্মেধ্য একটি হলো অনলাইন আয়। অনলাইনে আয় এই জগতটাকে আলাদা প্রাধান্য দিয়েছে। আর এই অনলাইনে আয় এতটা জনপ্রিয় হওয়ার কারণ কোনো ইনভেস্ট লাগে না।
ইতোমধ্যে বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়। আমাদের আজকের আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ইনভেস্ট ছাড়া অনলাইনে আয়ের জনপ্রিয় উপায়। আলোচনাটী আমরা একাধিক কাজের একটি লিস্ট করেছি। যা নিচে দেয়া হলোঃ
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়-
ইনভেস্ট ছাড়া অনলাইনে আয়ের জনপ্রিয় উপায় এর কথা বলছেন আর ফ্রিল্যান্সিং আসবে না তাই কি হয়?
না মোটেও না। ইনভেস্ট ছাড়া অনলাইনে আয়ের সেরা উপায় হলো ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য আপনাকে মোটেও কোনো টাকা দিতে হবে না। তবে এখান থেকে আয় কিন্তু ইনভেস্ট সহ ব্যবসায় যেমন হয় তেমনি হবে। তাই এটা হলো ইনভেস্ট ছাড়া আয়ের সেরা একটি উপায়। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রটা এখন বড় হয়ে গিয়েছে তাই আপনাকে কাজ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কোনো এক প্রকার কাজ ভালোভাবে শিখেই অনলাইন মার্কেটপ্লেসে জয়েন করতে পারবেন।
ইনভেস্ট ছাড়া অনলাইনে আয়ের জনপ্রিয় উপায় এর জন্য আপনি কাজ পাবেন মার্কেটপ্লেসগুলোতে। জনপ্রিয় কিছু অনলাইন মার্কেটপ্লসে এর কথা নিচে দেয়া হলোঃ ফাইভার
আপওয়ার্ক
ফ্রিল্যান্সার ডট কম
পিপল পার আওয়ার
গুরু
টুরুল্যান্সার
এছাড়াও দেশি কিছু ফ্রিল্যান্সিং সাইট এর মধ্যে আপনি পাবেন। কাজ কি
বিল্যান্সার
স্বাধীঙ্কাজ
স্বচ্ছল
এভাবেই ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করতে পারবেন অনলাইনে।
ছোট কাজ সম্পাদন করে-
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের ক্ষেত্রে অনেক সময় কাজ শিখতে গেলে প্রচুর সময় লাগে। অনেকেই এই ধৈর্য্য টুকু আর ধরতে পারেন না। যার কারণে উতলা হয়ে পড়েন। তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর মতোনি তবে ফ্রিল্যান্সিং নয়। আবার ফ্রিল্যান্সিং এর এক প্রকার বিকল্পও বলা যায় এমন ছোট ছোট কাজ করে আয় করতে পারবেন। এই ছোট কাজগুলোকে মাইক্রো টাস্ক বলা হয়ে থাকে। কাজগুলোর ভ্যালু বা মূল্য অনেক কম হলেও এখান থেকে অনেক কাজ একসাথে নেয়ার মাধ্যমে কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি একটি ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন আপনি।
ছোট ছোট এই কাজগুলো কোথায় পাবেন তা নিয়ে একটু সংশয় জাগতে পারে। তা দূর করার জন্য আমি বলতে চাই কিছু ওয়েবসাইটের কথা যেখান থেকে আপনি কাজ পাবেন। নিচে এই কাজগুলোর তালিকা দেয়া হলোঃ
অ্যামাজন মেকানিকাল টূর্ক
মাইক্রোওয়ার্কারস
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আয়-
ভাবতে অবাক লাগে যে আমরা যেই সোশ্যাল সাইট যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব, স্ন্যাপচ্যাট এ ব্যস্ত থাকি অন্যের সাথে চ্যাট করতে। ঠিক সময়েই গ্লোব এর অপর প্রান্তের একজন মানুষ টাকা ইনকাম করছে সেখান থেকে। ভাবতে গেলে অবাক এবং নিজেকে অনেকটাই তুচ্ছ মনে হয়। তবে তার দিন আজ শেষ।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করতে পারবেন আজ আপনিও। তারই কিছু পন্থা সম্পর্কে আপনাকে জ্ঞাতব্য করতে চাই।
১, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়ঃ ফেসবুকে ৫ বিলিয়ন, টুইটারে ১ বিলিয়ন্ ইন্সটাতে ২ বিলিয়ন এভাবেই আরও সোশ্যাল মিডীয়াতে আজ হাজারো মানুষের আনাগোনা। তাই মার্কেটিং এর একটি বড় সেক্টর হিসাবে তারা গড়ে উঠতে পারে। আপনার কোনো সার্ভিসকে আপনি এখানে প্রোমোট করতে পারবেন। আর এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করা যায়।
২, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়ঃ ফেসবুক পেজ কিংবা ইউটিউব চ্যানেল থেকেও অনেকে আয় করছেন আজকাল। ফেসবুকে পেজে একটা পর্যায়ে অ্যাড দেখানোর পার্মিশন পেয়ে অনেকে আয় করেন। আবার ইউটিউবেও এমনটি দেখা যায় গুগল অ্যাড সেন্স এর মাধ্যমে। একটু খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন।
এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়াকে কার্যকর উপায়ে কাজে লাগিয়ে আপনি আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।
ডাটা এন্ট্রি করে আয়
সবচেয়ে কাজ হিসাবে খ্যাত একটি কাজ হলো ডাটা এন্ট্রি করে আয়। অনলাইনে যারাই নতুন আসেন তাদের মাঝে এক বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে এই ডাটা এন্ট্রি। ফাইভার এর সেরা কাজগুলোর মধ্যেও একটি হলো এটি। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো খুব কম কাজ করেই ভালো একটি অ্যামাউন্ট পাওয়া যায়। তবে আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি এর সাথে পরিচিত না থেকে থাকেন তাহলে বলছি ডাটা এন্ট্রি হলো মূলত ডাটাকে অ্যারেঞ্জ করা।
ধরুন একটি অফিসের সবার বেতনের প্লাস সবার বাড়ি ভাড়ার একটি লিস্ট দেয়া আছে এখন একটু ভালোভাবে জিনিসটাকে তৈরি করতে হবে। যাতে করে খুব সহজেই কেউ দেখলেই তা বুঝতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি কিন্তু এক্সেলে দুটী তিনটি সেল নিয়ে তা সাজাতে পারেন। আর আপনার এই কাজকেই মূলত ডাটা এন্ট্রি বলা হবে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
অনুবাদক হিসাবে কাজ করে আয়-
অনলাইনে এখন যে সব ধরনের কাজই বিদ্যমান তারই একটি উত্তম উদাহরণ হলো অনুবাদক হিসাবে আয়। ইনভেস্ট ছাড়া অনলাইনে আয়ের জনপ্রিয় উপায় এর মধ্যে অনুবাদক হিসাবে আয় অন্যতম। একটি ভাষার স্ক্রিপ্ট অপর একটি ভাষাতে রূপান্তর করে খুব সহজেই আপনি আয় করতে পারবেন।
আমাদের এই কথার সত্যতা দেখার জন্য আপনি একটু অনলাইন মার্কেটপ্লেসে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন যে অনুবাদক হিসাবে কত টাকা আয় করা যায়। ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি ওয়েবসাইটে এখন এদের বিপুল পরিমাণ চাহিদা বিদ্যমান রয়েছে।
প্রোডাক্ট রিভিউ লিখে আয়-
টেকনোলজি সমন্ধে আপনার যদি একটু খানি ভালো মাপের জ্ঞান থেকে থাকে তাহলে কিন্তু আপনি একজন ভালো মানের প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটার হতে পারবেন। প্রোডাক্ট ব্যবহার করে তার সমন্ধে, তার ফিচার সমন্ধে লিখেও আপনি আয় করতে পারবেন। প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটিং এর ক্ষেত্রে আপনি দুটিভাবে আয় করতে পারবেন। নিচে দেয়া হলোঃ
১। নিজের ব্লগে লিখে আয়ঃ আপনি যদি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনি নিজের ব্লগেই প্রোডাক্ট এর রিভিউ লিখে আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার ব্লগে একটি ভালোমানের অডিয়েন্স থাকতে হবে। আর প্রোডাক্ট রিভিউ লিখে আয় এর আরও কিছু পন্থা আছে নিজ ব্লগ থেকে। আমরা একটু পরে তা জানব।
২। অন্যের ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট রাইটার হয়েঃ আপনার যদি একটি নিজস্ব ব্লগ বা ওয়েবসাইট নাও থাকে তাতেও সমস্যা নেই। অন্যের ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে যুক্ত হয়ে আপনি আয় করতে পারবেন।
প্রোডাক্ট রিভিউ লিখে উপরোক্ত দুটো উপায়ে আপনি খুব সহজেই পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করতে পারবেন। পড়াশোনার পাশাপাশি আয় এর ক্ষেতেও এটি উত্তম যা পূর্বোক্ত লাইনে বলা হয়েছে।
ট্রান্সক্রিপশনিস্ট হয়ে আয়-
একটি ভিডিও দেখে তাতে কি আছে তা লিখতে পারবেন না? বা ধরুন একটি অডিও শুনে লিখলেন যে তাতে কি কি রয়েছে। পারবেন কি?
অবশ্যই পারবেন। কেননা কাজটা খুব একটা দুরূহ কিছু নয়। অনেক সহজ একটা কাজ হলো এই ট্রান্সকিপশনিস্ট হিসাবে কাজ করা। শুধুমাত্র ভিডিও কয়েকবার দেখেই উপলদ্ধি করতে পারবেন এতে কি আছে। আর এটা ভেবে অবাক হবেন যে এই ট্রান্সকিপশনিস্ট হিসাবে কাজ করেও একজন মানুষ আয় করতে পারবে খুব সহজেই।
রেভ ডট কম হলো ট্রান্সকিপশনিস্ট দের একটি অন্যতম জায়গা। যেখানে সাইন আপ করলে আপনি এই সেক্টরে জয়েন হয়ে যেতে পারবেন খুব সহজেই।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়-
প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটিং এর প্রথম পয়েন্ট অর্থাৎ নিজস্ব ব্লগে প্রোডাক্ট রিভিউ লিখে আয় এর পয়েন্টে আমরা একটি জিনিস বলেছিলাম যে আপনি এটি ছাড়াও আরও নানা ভাবে আয় করতে পারবেন। তারই একটি উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়। ইনভেস্ট ছাড়া অনলাইনে আয়ের উপায় হিসাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর থেকে ভালো কিছু আর মনে হয় নেই।
তার আগে অ্যাফিলিয়েট এর একটা ছোট কনসেপ্ট দিয়ে নিই। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত কোনো একটি প্রোডাক্ট এর প্রচার প্রচারণা করা প্রোডাক্ট এর বিক্রয়মূল্যের একটু অংশের বিনিময়ে। অর্থাৎ আপনি যদি কারোর কোনো প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন তবে তা থেকে কিছুটা আপনাকে দেয়া হবে। আর এটাই হলো অ্যাফিলিয়েট এর মূল ধারণা টুকু।
তো ব্লগ থেকে যেভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন তা হলো ধরুন আপনি একটি প্রোডাক্ট রিভিউ লিখলেন। এবং শেষে সেই প্রোডাক্ট সমন্ধিত একটি অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করলেন। এর ফলে কেউ আপনার সেই লিংকে ক্লিক করে প্রোডাক্টটি কিনলো এর ফলে আপনার একটি অংশ আয় হবে।
পিটিসি সাইট থেকে আয়-
ইনভেস্ট ছাড়াই অনলাইনে আয়ের জনপ্রিয় উপায় এর মধ্যে একটি হলো পিটীসি সাইট থেকে আয়। পিটিসি কথাটি ইতোপূর্বে আপনি হয়তোবা শুনে থাকবেন বা এর সাথে পরিচিত।
আর যদি না হয়ে থাকেন তাহলে একটু বলে নেয়া যাক। পিটিসি এর কাজটি মূলত হলো আপনি কোনো একটি ওয়েবসাইটের অ্যাড দেখবেন। সেজন্য আপনাকে সেই ওয়েবসাইটগুলো টাকা দিবে। বর্তমানে এখন হাজারো পিটিসি সাইট রয়েছে এই বিশ্বে। পিটিসি সাইটগুলো আপনাকে যে কারণে টাকা দিবে তা হলো তারা তাদের ওয়েবসাইটে ভিজিটর চায়। আর আপনিও যেই অ্যাড দেখছেন তার কারণেও এক প্রকার ইনকাম তাদের হয়। তা থেকেই একটি ছোট অংশ আপনি পাবেন।
এভাবেই একটি পিটিসি সাইট থেকে ভিডিও দেখে বা অ্যাড দেখে আপনি ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই।
ওয়েব ডিজাইন করে আয়-
অনলাইন টিউটর হিসাবে কাজ করে আয়-
অনলাইনে যে শুধু এখন ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভলপাররা আয় করতে পারবেন তা কিন্তু নয়। একজন শিক্ষক আজ অনলাইনে আয় করতে পারবেন খুব সহজেই। অনলাইন জগত এখন শুধু যে যোগাযোগ এর মধ্যে নেই তা আমরা জানি। সেই সাথে পড়াশোনার মাধ্যম হিসাবেও দাঁড়িয়েছে এটি। একজন শিক্ষক এখন অনলাইনেও প্রাইভেট পড়াতে পারবেন তার ছাত্র ছাত্রীদেরকে।
অনলাইন এই প্রাইভেট পড়ানোকে মূলত অনলাইন টিউটরিং বলা হয়ে থাকে। বাস্তব জীবন ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি অনলাইনেও এই শিক্ষক গণ ক্লাস নিয়ে আয় করতে পারেন। আপনি যদি একজন টীচার হয়ে থাকেন তবে সুযোগটি আপনার জন্যও।
অনলাইনে টিউটোরিং এর জন্য যা যা প্রয়োজন তা হলোঃ
আপনার এক্ষেত্রে ভিডিও কলিং অ্যাপস সমন্ধে ধারণা রাখতে হবে। কেননা আপনাকে যেসবই ক্লাসই নেয়া লাগুক আপনি তা নিতে পারবেন এর মাধ্যমে। তাই এর কাজ আয়ত্ত করতে হবে। সেই সাথে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কথায় বলায় অনেকে অভ্যস্ত না। সেক্ষেত্রে তার অনুশীলনও করে নিতে হবে আপনাকেই।
উপরোক্ত পন্থার যেকোন একটি অনুসরণ করলেই আপনি অনলাইনে খুব ভালোভাবে টাকা ইনকামে লেগে যেতে পারবেন। কিন্তু একটা কথা আপনি টাকার মুখ নাও দেখতে পারেন যদি আপনি খুব বেশি তাড়াহুড়ো করেন। আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে বাইরে যে সময়টা আপনি ভাইভা কিংবা ইন্টারভিউ এর পিছনে দিতেন তখন কিন্তু কাজ হতো না। তেমনিভাবে আপনি এখানেও শুরুতে আয় করতে পারবেন না। একটু ওয়েট করতেই হবে। আর আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। সেই সাথে পরের পোস্ট পেতে সাথেই থাকুন।