শুবা ইবনুল হাজ্জাজ । যিনি
ছিলেন আমীরুল মুমিনিন ফিল হাদীস। ইন্তেকাল করেছেন ১৬০ হিজরিতে। যিনি সর্বপ্রথম হাদীসের
রিজালদের সম্পর্কে মন্তব্য করেন।
ইমাম খতীব বাগদাদী রহ. বলেন,
اول من تكلم في الرجال : شعبة بن الحجاج
অর্থাৎ সর্ব প্রথম যিনি রিজালদের
ব্যাপারে কালাম করেন তিনি হলেন, শুবা ইবনুল হাজ্জাজ রহ.।
يحيى بن سعيد يقول قال لي شعبة كل من كتبت
عنه حديثا فأنا له عبد
অর্থাৎ ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ
আল কাত্তান রহ. বলেন, ইমাম শুবা রহ. আমাকে বলেন,
“যার নিকট থেকে আমি একটি মাত্র হাদীস শিক্ষা করেছি আমি তার গোলাম।
(ইমাম যাহাবী, সিয়ারু আলামিন নুবালা, খন্ড,৮)
ইমাম শুবা রহ. বলেন,
اختلفت إلى عمرو بن دينار خمس مئة مرة وما سمعت منه إلا مئة حديث
অর্থাৎ আমি আমর ইবনে দিনার
রহ. এর নিকট পাচ শতবার আসা যাওয়া করেছি। তার থেকে মাত্র একশত হাদীস শ্রবণ করেছি।
(ইমাম যাহাবী, সিয়ারু আলামিন নুবালা, খন্ড,৮)
কিবারে উলামায়ে কেরাম তার
অনেক প্রশংসা করেছেন। তার কয়েকটি মাত্র নিম্নে তুলে ধরা হলো,
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ.
বলেন,
وكان شعبة أمة وحده في هذا الشأن
অর্থাৎ ইমাম শুবা রহ. ইলমে
হাদীস শাস্ত্রে ছিলে একটি জাতীর ন্যায়।
(ইমাম যাহাবী, সিয়ারু আলামিন নুবালা, খন্ড,৮)
ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেন,
لولا شعبة لما عرف الحديث بالعراق
অর্থাৎ ইমাম শুবা রহ. যদি
না থাকতেন তাহলে ইরাকবাসী হাদীস বুঝতেন না।
(ইমাম যাহাবী, সিয়ারু আলামিন নুবালা, খন্ড,৮)
ইয়াহইয়া ইবনে কাত্তান রহ.
বলেন,
أرني إمامًا من الكبار سلِم من الخطأ والوهم ، فهذا شعبة وهو في الذروة
له أوهام
অর্থাৎ আমাকে এমন কোনো বড়
ইমাম দেখাও যিনি ভুল ও ওহাম থেকে মুক্ত। আর এই শুবা ইবনুল হাজ্জাজ সে তো ইলমের পর্বত
তা সত্বেও তার ওহাম রয়েছে।
আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক রহ.
বলেন,
كنت عند سفيان إذ جاءه موت شعبة فقال مات الحديث
অর্থাৎ আমি সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা
রহ. এর নিকট ছিলাম, হঠাৎ শুবা রহ. এর মৃত্যুর সংবাদ পৌছল তখন তিনি বললেন, ( আহারে) হাদীস মৃত্যু বরণ করলো৷
লিঙ্ক আসিতেছে...