কওমি ওলামায়ে কেরাম নিকট অতীতেও কয়েকজন ভ্রান্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। যদিও ভ্রান্ত ব্যক্তিদের কেউ কেউ তাদের অঙ্গন থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। আমি দ্বীনের জন্য যাকে মহব্বত করি তার কোনো কথা বা কাজ যদি দ্বীনের বিরুদ্ধে যায় আমি তাকে সংশোধন করবার চেষ্টা করব। সংশোধন না হলে তার বিরোধিতা করে কিংবা সমালোচনা করে জাতিকে সতর্ক করব এটাই স্বাভাবিক।
আমি আপনি অনেকেই আছি ইসলামের অনেক বিধান পালন করতে পারিনা কিন্তু সে কারণে ইসলামের বাস্তব হাকিকতকে অস্বীকার করা বা গোঁড়ামি করার অধিকার আমার আপনার কারোরই নেই।
আরো পড়ুন
আবু হানিফা কি মুরজিয়া ছিলেন?
নেকাব (নারীদের চেহারা আবৃত রাখা) বিষয়ে আল-আযহার ভার্সিটির ফতোয়া ৷
فتاوى كبار علماء الأزهر الشريف حول النقاب
“নেকাব সম্পর্কে আল-আজহার শরীফের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের ফতোয়া”নামক বইয়ের ২৭ ও২৮ নং পৃষ্ঠা থেকে অনূদিত কিছু উক্তি
১: হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী (রাহ.) বলেন, "নারীরা নেকাব পরিহিতাঅবস্থায় বের হবে৷"
২: জালাল উদ্দিন আল মাহাল্লী(রহ.) বলেন, "নারীদের কর্তব্য বাহিরে বের হওয়ার সময় চেহারা আবৃত রাখা৷"
৩: জালাল উদ্দিন সুয়ূতী (রহ.) বলেন,"নারীদের চেহারা আবৃত রাখা ওয়াজিব৷"
৪: জাকারিয়া আল আনসারী (রহ.) বলেন,নারীরা চেহারা খুলে বের হওয়া নিষিদ্ধ। এই বিষয়ে মুসলিমগণ একমত৷"
৫: ইবনে হাজার হাইতামি (রহ.) বলেন, "নারীরা চেহারা অনাবৃতাবস্থায় বের হওয়া ফিৎনার কারণ।"
৬: খতিব শারবিনী (রহ.) বলেন, "নারীদের চেহারাবৃত রাখা বিধিবদ্ধ৷"
৭: শামসুদ্দিন রামলী আল-মিসরী (রহ.) বলেন," চেহারা ঢাকা ওয়াজিব কেননা তা ফেৎনার দিকে ঠেলে দেয়।"
উপরোক্ত সাতজন আল-আযহার ভার্সিটির শীর্ষস্থানীয় (স্কলার) আলেম ও শাফেয়ী মাযহাবের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
আরো পড়ুন
আবু হানিফা কে কি কুফরী হতে তাওবা করানো হয়ে ছিলো?
৮: মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ খরশী (রহ.) শাইখুল আযহার ও মালেকী মাযহাবের একজন ইমাম বলেন, "হজের সময়ও নারীদের চেহারাবৃত রাখা জায়েজ৷"
৯:আহমাদ দারদীর (রহ.) আল-আযহার ভার্সিটির শীর্ষস্থানীয় (স্কলার) আলেম ও মালেকী মাযহাবের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি বলেন,"ফিতনার আশংকা থাকলে ইহরামাবস্থায়ও নারীদের মুখ ঢাকা ওয়াজিব।"
১০: শাইখ আব্দুল্লাহ আশ-শারকাবী (রহ.) শাইখুল আযহার ও শাফেয়ী মাযহাবের একজন ইমাম। তিনি বলেন,"চেহারা ও হস্তদ্বয় নারীদের সতর (তথা আবৃত রাখা অঙ্গের) অন্তর্ভুক্ত এর দিকে দৃষ্টিপাত করা হারাম৷"
১১: মোহাম্মদ আদ-দুসুকী (রহ.) আল-আযহার ভার্সিটির শীর্ষস্থানীয় (স্কলার) আলেম ও মালেকী মাযহাবের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি৷ তিনি বলেন, "নারী যদি পর পুরুষের দৃষ্টি থেকে নিজের চেহারা ঢাকতে চায় বিনাশর্তে তা বৈধ৷"
১২: শায়েখ ইব্রাহিম আল-বাজুরী (রহ.) শাইখুল আযহার ও শাফেয়ী মাযহাবের একজন ইমাম। তিনি বলেন,"নারীরা চেহারা খুলে বের হওয়া নিষিদ্ধ। এই বিষয়ে মুসলিমগণ একমত।"
১৩: শায়েখ মোঃ আবুল ফজল (রহ.) শাইখুল আযহার। তিনি বলেন,"নারীদের সৌন্দর্য প্রকাশ করা জায়েজ নেই, যেমন তার চেহারা।"
১৪: শায়েখ ইউসুফ দযবী (রহ.) আল-আযহার ভার্সিটির শীর্ষস্থানীয় আলেমদের একটি অঙ্গসংগঠন। তিনি বলেন, "যে ব্যক্তি চেহারা ও হস্তদ্বয় খোলা রাখা বৈধ বলে, তার উপর ওয়াজিব বর্তমান যামানায় তা হারাম বলা৷"
আরো পড়ুন
বুখারী শরীফও ত্রুটি মুক্ত নয়
১৫: শায়েখ মোহাম্মদ আবু যুহরা (রহ.) বলেন,"নারীদের সতর (তথা আবৃত রাখার অঙ্গ) তাদের গোটা শরীর৷"
১৬: শায়েখ ডক্টর আব্দুল হালিম মাহমুদ শাইখুল আযহার। তিনি বলেন, "ফিৎনার আশঙ্কা থাকলে নারীদের চেহারা ও হস্তদ্বয় আবৃত রাখা ওয়াজিব৷"
১৭: হাসানাইন মোহাম্মদ মাখলুফ (রহ.) মুফতি আদ-দিয়ার আল-মিসরিইয়্যাহ। তিনি বলেন, "নারীদের চেহারাবৃত রাখা ওয়াজিব। কথাটি গ্রহণযোগ্য মতামত।"
১৮: শায়েখ ডক্টর সাইয়্যেদ সাবেক (রহ.) আল-আযহার ভার্সিটির শীর্ষস্থানীয় একজন আলেম। তিনি বলেন, "হজের সময়ও নারীদের চেহারাবৃত রাখা জায়েজ৷"
১৯: শায়েখ মোহাম্মদ মুতাওয়াল্লি আশ-শা'রাবী (রহ.) মিশরী দাতব্য সংস্থার মন্ত্রী। তিনি বলেন, "নারীদের নেকাব প্রত্যাহার একটি আশ্চর্যজনক ও অদ্ভুত বিষয়।"
২০: শায়েখ আতিয়াতু সাকার (রহ.) আল আজহার ভার্সিটির ফতোয়া বিভাগ প্রধান। তিনি বলেন, "এমন কোন দলিল জানা যায়না যার দ্বারা নারীর চেহারা ও হস্তদ্বয় আবৃত রাখা ওয়াজিব নয়, বলা যাবে।"
২১: ডক্টর মোহাম্মদ আল-মিসিয়ার (রহ.) আল-আযহার ভার্সিটির শীর্ষস্থানীয় একজন আলেম। তিনি বলেন, "নারীরা নেকাব পরতে চাইলে কোন বাধা নেই।"
২২: ডক্টর ইউসুফ আল-কারযাভী। আল-আযহার ভার্সিটির শীর্ষস্থানীয় একজন আলেম। তিনি বলেন, "নেকাব মুসলিম নারীর অধিকার"
২৩: ডক্টর আলী জু'মা, মুফতি আদ-দিয়ার আল মিসরিইয়্যাহ।তিনি বলেন, "নেকাব শরীয়তের নির্দেশ নয়, থাটি উদ্ভট।"
ডাউনলোড করুন
"তাকরীরে খতমে বুখারী" অডিও থেকে অনুবাদ করেছেন মুফতি রেজাউল করিম মুহাদ্দিস, সুফফাহ মাদরাসা,মহেশপুর, জিনাইদহ