রোজার উপকারিতা ও তাৎপর্য




রমজানের রোজা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যেমন উত্তম, তেমন শারীরিক সুস্থতার জন্য কার্যকরী একটি ব্যবস্থাপনা। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সাহরি এবং ইফতারে পরিমিত খাবার খান। অতি ভোজন এড়িয়ে চলেন, তারা রোজা রাখার ফলে শুধু শারীরিকভাবেই উপকৃত হন না, বরং মানসিকভাবেও প্রশান্তি ও প্রফুল্লতা অনুভব করতে থাকেন। রোজা রাখার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা অনেকগুলো আছে। কিছু উপকারিতা হলোঃ

(1) ওজন নিয়ন্ত্রণ: রোজা রাখার সময় সম্পূর্ণ খাবার এবং পানীয় বদলে যায়। সেই ফলে দিনের সমস্ত খাবার সংখ্যা কমে যায়। এক্ষেত্রে রোজা রাখার সময় খাবারের সংখ্যা একটি সীমাবদ্ধতা থাকে এবং মানসিকভাবে অন্তত সময়ের জন্য প্রশিক্ষণ করে দেওয়া হয়। এর ফলে ব্যক্তির ওজন নিয়ন্ত্রণ হয় এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

(2) ত্বকের স্বাস্থ্যকর উন্নয়ন: রোজা রাখার সময় মানসিক ও শারীরিক পরিশ্রমের কারণে শরীরে রক্তচাপ ও সারমোলের পরিমাণ কমে যায়। এটি ত্বকের জন্য ভাল হয়। এছাড়াও রোজা রাখার সময় মধুমেহ ব্যাধি সম্পর্কিত সমস্যা থেকে বাঁচানোর উপকারিতা আছে।


(3) আয়তন কমানো: রোজা রাখার সময় শরীরের আয়তন কমে যায় যা শরীরে খারাপ পদার্থ সরবরাহ করতে কম পরিমাণে হয়। এটি শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।


(4) শরীরে সামান্য পুষ্টি সরবরাহ হতে পারে: রোজা রাখার সময় শরীরে সামান্য পুষ্টি সরবরাহ হতে পারে এবং এটি দ্বিতীয় দিনে সামান্য পরিমাণে ভাল হয়।


(5) শরীরের সুস্থতা: রোজার সময় মানুষ খাবার ও পানীয় না খেয়ে তাদের শরীরে পরিমিত পরিমাণে পানি থাকে। এটি শরীরের জঠারে সঞ্চয় করে এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত খাবার ও পানীয় না খেয়ে ব্যবহার করা হয়।


(6) পরিবর্তনশীল হারকে নিয়ন্ত্রণ করেঃ রোজা রাখা ব্যক্তির শরীরের পরিবর্তনশীল হারকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখে। রোজা রাখার সময় প্রাণ কাজ করতে থাকে যা শরীরের সম্পূর্ণ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র উপকারী। সম্ভবত ব্যক্তির দ্রুত ও চাপক্ষেপ দূর করে এবং মন ও শরীর সমান ভাবে সুস্থ রাখে।


(7) স্বাস্থ্যসম্পর্কিত উপকারিতা সমৃদ্ধি করেঃ রোজা রাখার সময় শরীর সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ হয়ে থাকে। এটি ত্বক, পেট, পাচনতন্ত্র, শ্বাসকণ্ঠ, চক্ষু, কণ্ঠ এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে।


(8)  ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: রোজা রাখার সময় পেটে হিসেবে আমিষ বা শরীরের গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর ফলে রোগীদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।


(9) লিভার কর্তব্য উন্নয়ন: রোজা রাখার ফলে শরীরের মধ্যে যেমন অস্তিত্বময় টকসিনগুলি পরিষ্কার হয়, ঠিক তেমনি লিভারের কর্তব্য ও উন্নয়ন হতে পারে।

(10)  জীবনকে সুস্থ রাখেঃ রোজা রাখা সম্পূর্ণ পুষ্টি বহন করা বন্ধ করে এবং সঠিক খাদ্য গ্রহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে। এটি স্বাস্থ্যকর হওয়ার জন্য উপকারী হতে পারে, একজন রোজাদার সম্পূর্ণ দিন সঠিক পরিবেশে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করে এবং রোজার দিনে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ঘটা নামায প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার মনস্থতা পরিষ্কার করে।
(11)  মধুমেহে উপকারিঃ রোজা রাখার সময় শরীর একটি প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে যা মধুমেহ বা ডায়াবেটিসে সাম্প্রতিক কাজ করতে পারে। রোজা রাখার সময় খাদ্য ব্যবস্থা নিয়মিত রাখলে ডায়াবেটিসের পরিধি নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং পরিবেশের সামঞ্জস্য প্রদান করে।

(12) প্রাণায়ামের উন্নয়ন: রোজা রাখার সময় মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশি প্রাণায়াম করা হয়। প্রাণায়াম শরীরের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সাহায্য করে এবং এর মাধ্যমে মনোযোগ সমর্থিত হয়।

আধুনিক গবেষণা অনুসারে, খেজুরে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ডির পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, স্টিল, ফসফরাস এবং আরও অনেক দরকারী খনিজ রয়েছে যা কেবল হৃদ, মস্তিষ্ক, লিভার, পেট এবং স্নায়ুকেই মজবুত করে না, বরং শরীরে প্রচুর পরিমাণে শক্তিও সঞ্চার করে।

গ্রীষ্মকালের রোজায় আপনি যদি তৃষ্ণার্ত বোধ করেন, তাহলে প্রাচীন চিকিৎসকদের গবেষণা অনুসারে আপনি যদি সাহরির সময় ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দু’চামচ খাঁটি মধু পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করেন তাহলে আপনি সারা দিন প্রশান্ত থাকবেন। পানির তৃষ্ণা কম হবে।

কারণ মধুর মতো বরকতময় খাবার এবং চিকিৎসা মাল্টিভিটামিনের খনিজ হওয়ার কারণে এটি রোজার সময় শারীরিক শক্তি পুনরুদ্ধার করে থাকে।



You have to wait 1 minute before download link appears.
লিঙ্ক আসিতেছে...
সত্য প্রকাশ

আমার নামঃ মুফতি রেজাউল করিম। আমি একটি কওমী মাদরাসায় শিক্ষকতা করছি। পাশাপাশি এ ব্লগের সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান থাকায় সময় পেলে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করি। যেন অনলাইনেও মানুষ ইসলামি জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আপনিও চাইলে এ ব্লগে লিখতে পারেন। মোবাইলঃ 01782-40 91 69

Please Select Embedded Mode For Blogger Comments

নবীনতর পূর্বতন