আব্দুল্লাহ্
ইবনে মাসউদ রা.। জন্মেছিলেন আনুমানিক হিজরতের 31-37 বছর আগে। ছায়ার মত লেগে থাকতেন নবীজীর সাথে। সফরে বা হযরে গৃহের অভ্যন্তরে বা বাইরে সব সময় তিনি তার সাথই থাকতেন। রাসূল ঘুমালে তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিতেন, গোসলের সময় পর্দা করতেন, বাইরে যাবার সময় পাদুকা পরিয়ে দিতেন, ঘরে প্রবেশের সময় জুতা খুলে দিতেনিএবং তার লাঠি ও মিসওয়াক বহন
করতেন। তাই হাদিস ও তারিখে তার উপাধি ‘ছাহিবুন না’লাইন
ওয়াল বিসাদ ওয়াল মিতহার’ অর্থাৎ রাসূলের পাদুকা, তাকিয়া ও অযুর পাত্র
বহনকারী।( ছহীহ বুখারী, হাদীস- 3961)
হযরত
আবু মূসা আশয়ারী রা. বলেন,
“ আমরা অনেক দিন পর্যন্ত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ ও তার মাতাকে
নবীজীর আহলে বাইত(পরিবারের সদস্য
মনে করতাম।)কেননা নবীজীর গৃহে তাদের আসা যাওয়া ছিলো খুব বেশী। ( সহীহ বুখারী, হাদীস- 3769)
শুধু
তা্ নয়, রাসূল স. যখনই ইচ্ছা তার কামরায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন। এবং তার সকল বিষয় অবগত হওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। এ
কারণে তাকে ‘সাহিবুস সির’ বা রাসূলের
সকল গোপন বিষয়ের অধিকারী বলা হয়।
রাসূলে
কারীম স. এর ওফাতের
পর যখন ইসলামি খেলাফাতের পরিধি বিস্তৃত হতে লাগল এবং নতুন নতুন অঞ্চল বিজিত হল তখন সাহাবায়ে কেরাম দ্বীন এবং ঈমানের তালিমের জন্য দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়লেন। হযরত উমর ফারুক রাযি. বড় বড় সাহাবীকে সাধারণত মদীনার বাইরে যেতে দিতেন না্ । তবে
ঈরাক জয়ের পর যখন কূফা নগরীর গোড়াপত্তন হল তখন সে অঞ্চলে দ্বীন ও শরীয়ত এবং
কুরআন ও সুন্নাহর তালিমের
জন্য অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদকে পাঠালেন।
তিনি
কূফাবাসীকে পত্র লিখলেন যে, আমি আম্মার
ইবনে ইয়াসির কে
তোমাদের আমীর হিসেবে এবং আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদকে উযির ও মুয়াল্লিম হিসেবে
প্রেরণ করছি। এরা দুজনই
রাসূল আমার অন্য ব্লগ থেকে ঘুরে আসুন
স. এর মনীষী
সাহাবীদের অন্যতম এবং বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী। তোমরা তাদের নিকট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে। এবং তাদের অনুসরণ করবে। মনে রাখবে, আব্দুল্লাহকে আমার নিজের প্রয়োজন ছিলো কিন্তু আমি তোমাদের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়েছি। এবং তোমাদের জন্য তাকে পছন্দ করেছি।
ইবনে মাঈন সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন এখানে
আল্লাহর কিতাব কুরআনের
জ্ঞানে তিনি কতখানি পারদর্শী ছিলেন সে সম্পর্কে তার নিজের একটি মন্তব্য এক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য।
তিনি বলেন, যিনি ছাড়া আর কোনো্ ইলাহ নেই সে আল্লাহর কসম! আল্লাহর কিতাবের
এমন কোনো একটি আয়াত নাযিল হয়নি যে সম্পর্কে আমি জানি না যে, তা কোথায় নাযিল হয়েছে এবং
কী সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে আমার থেকে অধিক পারদর্শী কোনো ব্যক্তির
কথা আমি যদি জানতে পারি এবং তার কাছে পৌছা সম্ভব হয় তাহলে আমি তার কাছে উপস্থিত হই।