আজ মঙ্গল
বার
(3 নভেম্বর) মহানবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম
কে
রাষ্ট্রীয়ভাবে অবমাননা করায় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করে অরাজনৈতিক সংগঠন “মহেশপুর
ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ।” সংগঠনটির মহেশপুর থানার উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নেয় হাজার
হাজরি
জনতা।
মহেশপুর থানাসহ আশপাশের অঞ্চল থেকে হাজার হাজার নবীপ্রেমিক, তৌহিদী জনতা জমায়েত হয় মহেশপুর
কেন্দ্রীয়
মসজিদ
প্রাঙ্গণে।
আলেম-ওলামা ও মাদরাসার তালিবুল ইলমসহ হাজারও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো
বেলা
সাড়ে এগারটায় মহেশপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিল শুরু হয়ে কলেজ পৌরসভা চত্ত্বরে জমায়েত
হয়।সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর দোয়ার মাধ্যমে সমাবেশ শেষ হয়।
মহেশপুর
“ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ” এর মহাসচিব মুফতি নাজির আহমাদ বলেন, ফ্রান্স সরকার
মুহাম্মাদ স. এর ব্যঙ্গচিত্র করে মুসলিম উম্মাহর করিজায় আঘাত করেছে। অবিরম্বে তাকে
এ ব্যঙ্গচিত্র প্রত্যাহার করে মুসলমানদের কছে ক্ষমা চাইতে হবে।
তিনি
আরও বলেন, বাক স্বাধীনতার নামে ফ্রান্স ইসলাম বিরোধী চরম অসভ্য ও নোংরা খেলায় মেতে
উঠেছে।তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব জ্ঞাপনের দাবি
জানান।
তিনি
শেখ হাসিনা কে উদ্দ্যেশ্য করে বলেন, আপনি এজন মুসলমান। সুতরাং নবীর কটূক্তি করলে
আপনার রক্তও গরম হওয়ার কথা। যদি না হয় বুঝতে হবে ওই রক্তে ভ্যাজাল আছে। অবশেষে
কাজী নজরুলের কবিতা পাঠ করে দোয়ার মাধ্যমে বক্তব্য শেষ করেন।
বিক্ষোভ
মিছিলে আরও বক্তব্য রাখেন, মহেশপুর ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সেক্রেটারী মুফতি
রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইবরাহিম বিন মুসলিম প্রমূখ ।
বিক্ষোভ
মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, মুফতি রেজাউল করিম
(সম্পাদক:HMREZAULISLAM.BLOGSPOT.COM), মুফতি শুয়াইব আহমাদ মাহদী, মুফতি মাসউদুর
রহমান, মাওলা হুমায়ূন কবির,মাওলানা ইবরাহীম খলীল, মাওলানা মুফতি গোলাম কিবরিয়া,
মাওলানা মোস্তফা কামাল প্রমূখ।
উল্লেখ্য,
স্কুল শিক্ষার্থীদের সাথে বাক-স্বাধীনতার আলোচনা করতে গিয়ে ফ্রান্সের রাজধানী
প্যারিসে একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি হজরত মুহাম্মাদ স. এর
কার্টুন প্রদর্শন করেন। ঘটনার পর 16 অক্টোবর 18 বছর বয়সী এক চেচেন কিশোর
স্যামুলেকে হত্যা করেন।
স্যামুয়েল হত্যার পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড ও নবীর কার্টুন প্রদর্শনী অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।এ নিয়ে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ দেশের সাথে ফ্রান্সের টানাপোড়েন তৈরি হয়।